Posts

Showing posts from October, 2019

Computer Science Engineering (CSE)

বুয়েট ভর্তিচ্ছুদের কারও কারও কাছে ইইই এর পরিবর্তে সিএসই ১ম চয়েস হিসেবে থাকে। বিষয়বস্তুঃ Computer Science হলো কম্পিউটারকে কাজ শিখানো, কথা শুনানো, তাকে দিয়ে ইচ্ছামত কাজ করানো। গাণিতিক সমস্যা সমাধান করানো থেকে শুরু করে রোবট চালানো, গেম বানানো, মহাকাশযান চালানো সবই এর মাধ্যমে করা যায়। Computer Science এ মূলত পড়ানো হয় সফটওয়ার তৈরির বিভিন্ন কৌশল, কম্পিউটার ও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরির কৌশল, অটোমেশনের বিভিন্ন কৌশল, কমিউনিকেশনের বিভিন্ন ধাপ ও কৌশল ইত্যাদি। চাহিদা আইটি আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথম ৩০টি সম্ভাবনাময় দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আমাদের দেশে এখনো চাহিদার তুলনায় দক্ষ কম্পিউটার সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট অনেক কম। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। সাথে সাথে শিল্পে আধুনিকায়ন হচ্ছে। পরমাণু শক্তি কমিশন, Satellite Transmission থেকে Traffic Controlling, E-governance, রেল যোগাযোগ সহ সকল ক্ষেত্রেই কম্পিউটার এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। ফলে সকল ক্ষেত্রেই CSE এর চাহিদা ব্যাপক। ভবিষ্যতঃ ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে কয়েক

Civil Engineering (CE), Water Resources Engineering (WRE)

ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে অনেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং মনে করেন। পৃথিবীর শুরু থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর নানা কলা-কৌশল চলমান। বুয়েটে সিভিলের আসন ১৯৫ আর পানিসম্পদ প্রকৌশলের জন্য রয়েছে ৩০ টি আসন। বিষয়বস্তুঃ Civil বা পুরকৌশল পেশাদার প্রকৌশল বিদ্যার একটি অন্যতম শাখা যেখানে নকশা, নির্মান কৌশল, বাস্তবিক বা প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পরিবেশের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পুরকৌশল বিদ্যায় মূলত বিভিন্ন নির্মাণ কৌশল যেমন ভবন, সেতু, রাস্তা, বাধ, পরিখা, স্তম্ভ ইত্যাদি নির্মাণ কৌশল এবং নির্মাণ পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। তাছাড়া একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে জরিপ ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনার কাজও করতে হয় সমান দক্ষতার সাথে। বাড়ি-ঘর, দালান-কোঠা, রাস্তা-ঘাট,ফ্লাইওভার, বাঁধ, উচু টাওয়ার, এয়ারপোর্ট, সুয়ারেজ লাইন, পানির পাইপ লাইন, বর্জ্য নিষ্কাশন ও রিসাইক্লিং সিস্টেম, ভূমিকম্পের কারণ ও প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে পুরকৌশলবিদ্যার পরিসর। দিনে দিনে সৃষ্টি হয়েছে এর বেশ কয়েকটি শাখা। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হল I. Structural Engineering II. Transportation Engineering I

Mechanical Engineering (ME)

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্যতম 'মাদার সাব্জেক্ট'। বুয়েটে এ ডিপার্টমেন্টে সিট সংখ্যা ১৮০। বিষয়বস্তু শক্তি উৎপাদন, রূপান্তর ও পরিবহনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দক্ষতার সাথে ব্যবহার নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রাচীনতম, মৌলিক এবং সুবিস্তৃত যে শাখাটি কাজ করে তাই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। এর বিস্তৃতি মহাসাগরের তলদেশ থেকে সুদূর মহাশূন্য পর্যন্ত। রূপান্তর ও পরিবহনের মাধ্যমে শক্তির সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে ব্যবহার ব্যতীত কোন কাজই করা সম্ভব না। Control, Automobiles, Robotics এই তিনটি বিভাগের সমন্বয়ই মেকানিক্যাল। চাহিদা যে সকল বিষয়ের ব্যাপক চাহিদা অতীতেও সব সময় ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে, তার মধ্যে Mechanical একটি। প্রতিটি শিল্প-কারখানাতেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন হয়। এ কারনে এর চাহিদা ব্যাপক। মেকানিক্যাল পড়লে অনেকক্ষেত্রে EEE ও IPE রিলেটেড জবেও আবেদন করা যায়। বিশ্বপ্রেক্ষাপটে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পড়াশোনার ক্ষেত্র ও চাকরির ক্ষেত্র সুবৃহৎ। একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন, পরিচালনা, মান নিয়ন্ত্রণ, যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ সব কিছুতেই থ

Industrial & Production Engineering (IPE)

বিষয়বস্তুঃ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্টের অপূর্ব সমন্বয় হচ্ছে IPE। ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প জনশক্তি ও Limited Resource নিয়ে অসাধারন প্ল্যানের মাধ্যমে কোন ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ Output নিশ্চিত করাই একজন IPE ইঞ্জিনিয়ারের কাজ। চাহিদাঃ কি করে একটি ফ্যাক্টরির লে-আউট তৈরি করতে হয়, সবচেয়ে কম Material Movement দিয়ে কি করে প্রোডাকশন করা যায়, ঠিক কতজন লোক ব্যবহারে Optimum খরচ হবে, ঠিক কি ভাবে প্রসেসগুলো ঠিক করলে আমরা কোয়ালিটি বাড়িয়ে Product Defect কমাতে পারবো সেটা IPE বলে দেয় বিধায় সকল মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে IPE ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ব্যাপক। দেশের বাইরে IBM, Microsoft, Intel এর মতো বিশাল সব ইন্ডাস্ট্রিতে আছে এর চাহিদা। ভবিষ্যতঃ একই সাথে বিজনেস ম্যানেজার এবং প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারের কাজ একজন IPE ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে করানো সম্ভব বলে ভবিষ্যতেও এর ব্যাপক চাহিদা থাকবে এটা বোঝাই যায়। BBA, MBA এর দূর্দান্ত পারফরমেন্সের এই যুগে IPE এর চাহিদা আরো বাড়বে। সহায়ক গুনাবলীঃ ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা, নেতৃত্ব দান, প্ল্যানিং, আইডিয়া জেনারেশন, স্মার্টনেস, উপস্থাপন যোগ্যতা ইত্যাদি। কর্মক্ষেত্রঃ

Electrical & Electronic Engineering (EEE)

বুয়েট ভর্তিচ্ছুদের অনেকের কাছে এটা ১ম চয়েস। বিষয়বস্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্থানান্তর ও বিতরন এবং এর সাথে সম্পর্কিত যন্ত্রঃ যেমন ট্রান্সফর্মার, জেনারেটর, মোটর প্রভৃতি ডিজাইন ও মেইন্টেনেন্স নিয়েই ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। বিভিন্ন ধরনের IC দিয়ে তৈরি ডিভাইসঃ যেমন ট্রানজিস্টার, ডায়োড, ট্রান্সমিটার, রেডিও-টেলিভিশন থেকে শুরু করে স্মার্টফোন, আইপ্যাড, নোটপ্যাড, ল্যাপটপ তৈরি ও ডিজাইন নিয়ে কাজ হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং। এছাড়া মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স, ন্যানোটেকনোলজি, টেলিকম্যুনিকেশন প্রভৃতি বিষয়ও এই সাবজেক্টে পড়ানো হয়। চাপ, তাপমাত্রা, প্রবাহ ইত্যাদি ফিজিক্যাল কোয়ান্টিটি পরিমাপের সেন্সর ও মিটার ডিজাইন নিয়ে কাজ করা ইন্সট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ও এই বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। অত্যাধুনিক কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ডিজাইন ও মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজের ব্যবহারও এই বিষয়ে পড়তে হয়। চাহিদাঃ যে সকল বিষয়ের ব্যাপক চাহিদা অতীতেও সব সময় ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে, তার মধ্যে EEE একটি। চারদিকে ইলেক্ট্রনিক্সের বিপ্লব দেখে নিশ্চয়ই এই সাবজেক্ট পড়ুয়াদের গুরুত্ব বা চাহিদা আগ বাড়িয়ে বলে দিতে হবে না? গ্লোবাল পজিশনিং সিস