Computer Science Engineering (CSE)


বুয়েট ভর্তিচ্ছুদের কারও কারও কাছে ইইই এর পরিবর্তে সিএসই ১ম চয়েস হিসেবে থাকে।
বিষয়বস্তুঃ
Computer Science হলো কম্পিউটারকে কাজ শিখানো, কথা শুনানো, তাকে দিয়ে ইচ্ছামত কাজ করানো। গাণিতিক সমস্যা সমাধান করানো থেকে শুরু করে রোবট চালানো, গেম বানানো, মহাকাশযান চালানো সবই এর মাধ্যমে করা যায়। Computer Science এ মূলত পড়ানো হয় সফটওয়ার তৈরির বিভিন্ন কৌশল, কম্পিউটার ও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরির কৌশল, অটোমেশনের বিভিন্ন কৌশল, কমিউনিকেশনের বিভিন্ন ধাপ ও কৌশল ইত্যাদি।
চাহিদা
আইটি আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথম ৩০টি সম্ভাবনাময় দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আমাদের দেশে এখনো চাহিদার তুলনায় দক্ষ কম্পিউটার সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট অনেক কম। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। সাথে সাথে শিল্পে আধুনিকায়ন হচ্ছে। পরমাণু শক্তি কমিশন, Satellite Transmission থেকে Traffic Controlling, E-governance, রেল যোগাযোগ সহ সকল ক্ষেত্রেই কম্পিউটার এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। ফলে সকল ক্ষেত্রেই CSE এর চাহিদা ব্যাপক।
ভবিষ্যতঃ
ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে কয়েকগুন। ইন্ডাস্ট্রিগুলো সবই সয়ংক্রিয় হয়ে যাবে। নতুন নতুন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র তৈরি হবে। মানুষ সব কিছুই এখন ঘরে বসে পেতে চায়। ফলে অনলাইন মাধ্যমগুলো দিন দিন জনপ্রিয় বাড়বে। আরো অনেক ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট তৈরি হবে। নতুন নতুন সফটয়্যার ও গেমসের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। যে বিষয় গুলো এখন পর্যন্ত এনালগে হচ্ছে সেগুলোতেও কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়বে। ফলে আগামী দিন যে সৃজনশীলতা আর উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা নিজেদের দখলে নিয়ে নেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মেকাট্রনিক্স আর রোবটিক্সের মত আরো বিভিন্ন শাখা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক।
সহায়ক গুনাবলীঃ গনিতে পারদর্শীতা, উদ্ভাবনী শক্তি, ক্ষুরধার যুক্তিজ্ঞান, সৃজনশীলতা, প্যাশন, ধৈর্য্য, প্রজ্ঞা, দূরদর্শীতা, নেতৃত্ব ইত্যাদি।
কর্মক্ষেত্রঃ
আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে কম্পিউটারের মত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে সকল ক্ষেত্রে। বিস্তৃত হয়েছে কর্মক্ষেত্র।
১। সরকারী বিভিন্ন বিভাগ-বিদ্যুৎ উন্নয়ন অধিদপ্তর, পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ড, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর, গণপূর্ত বিভাগ, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রভৃতিতে প্রকৌশলী হিসেবে।
২। বিভিন্ন ফার্মে Software Engineer & Programmer, IT Professional.
৩। Network Administration, System Analyst.
৪। Web Mastering & Developing Company
৫। Graphics Designer.
৬। Film Industry তে Simulation & Animation ডিরেক্টর
৭। সামরিক বাহিনী।
৮। সরকারী ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা।
৯। সকল আধুনিক শিল্পকারখানায় প্রসেস কন্ট্রোলিং এ।
১০। Grameen Phone, Banglalink, Robi, Airtel, Teletalk, Citycell প্রভৃতি মোবাইল কোম্পানিতে।
১১। Microsoft, Google, Yahoo, Facebook, Intel এর মত জায়ান্ট কোম্পানিগুলোতে।
১২। Nasa, সার্নের মত বিভিন্ন বিখ্যাত গবেষনা ইন্সটিটিউটে।
স্কলারশীপ ও উচ্চশিক্ষাঃ
Massachusetts Institute of Technology (MIT), Harvard University, The University of Melbourne, University of California at Berkeley (UCB), , University of Cambridge, University of Oxford, University of Toronto, The University of Queensland, Princeton University, Monash University এর মত বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়া যায়। স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করার সুযোগ CSE তে অনেক বেশী।

Comments

Popular posts from this blog

সমাজকর্ম Social Work / সমাজকল্যাণ Social Welfare

Geography and Environment - ভূগোল ও পরিবেশ

Islamic History and Culture - ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি