Posts

Showing posts from 2021

Electrical & Electronic Engineering (EEE)

 Subject Review:  Electrical & Electronic Engineering (EEE) বুয়েট ভর্তিচ্ছুদের অনেকের কাছে এটা ১ম চয়েস। বুয়েটে এর আসন সংখ্যা ১৯৫। বিষয়বস্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্থানান্তর ও বিতরন এবং এর সাথে সম্পর্কিত যন্ত্রঃ যেমন ট্রান্সফর্মার, জেনারেটর, মোটর প্রভৃতি ডিজাইন ও মেইন্টেনেন্স নিয়েই ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। বিভিন্ন ধরনের IC দিয়ে তৈরি ডিভাইসঃ যেমন ট্রানজিস্টার, ডায়োড, ট্রান্সমিটার, রেডিও-টেলিভিশন থেকে শুরু করে স্মার্টফোন, আইপ্যাড, নোটপ্যাড, ল্যাপটপ তৈরি ও ডিজাইন নিয়ে কাজ হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং। এছাড়া মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স, ন্যানোটেকনোলজি, টেলিকম্যুনিকেশন প্রভৃতি বিষয়ও এই সাবজেক্টে পড়ানো হয়। চাপ, তাপমাত্রা, প্রবাহ ইত্যাদি ফিজিক্যাল কোয়ান্টিটি পরিমাপের সেন্সর ও মিটার ডিজাইন নিয়ে কাজ করা ইন্সট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ও এই বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। অত্যাধুনিক কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ডিজাইন ও মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজের ব্যবহারও এই বিষয়ে পড়তে হয়। চাহিদাঃ যে সকল বিষয়ের ব্যাপক চাহিদা অতীতেও সব সময় ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে, তার মধ্যে EEE একটি। চারদিকে ইলেক্ট্রনিক্সের বিপ্লব দেখে নিশ্চয়ই

Civil Engineering (CE), Water Resources Engineering (WRE)

 Subject Review Civil Engineering (CE), Water Resources Engineering (WRE) ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে অনেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং মনে করেন। পৃথিবীর শুরু থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর নানা কলা-কৌশল চলমান। বুয়েটে সিভিলের আসন ১৯৫ আর পানিসম্পদ প্রকৌশলের জন্য রয়েছে ৩০ টি আসন।  বিষয়বস্তুঃ Civil বা পুরকৌশল পেশাদার প্রকৌশল বিদ্যার একটি অন্যতম শাখা যেখানে নকশা, নির্মান কৌশল, বাস্তবিক বা প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পরিবেশের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পুরকৌশল বিদ্যায় মূলত বিভিন্ন নির্মাণ কৌশল যেমন ভবন, সেতু, রাস্তা, বাধ, পরিখা, স্তম্ভ ইত্যাদি নির্মাণ কৌশল এবং নির্মাণ পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। তাছাড়া একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে জরিপ ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনার কাজও করতে হয় সমান দক্ষতার সাথে। বাড়ি-ঘর, দালান-কোঠা, রাস্তা-ঘাট,ফ্লাইওভার, বাঁধ, উচু টাওয়ার, এয়ারপোর্ট, সুয়ারেজ লাইন, পানির পাইপ লাইন, বর্জ্য নিষ্কাশন ও রিসাইক্লিং সিস্টেম, ভূমিকম্পের কারণ ও প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে পুরকৌশলবিদ্যার পরিসর। দিনে দিনে সৃষ্টি হয়েছে এর বেশ কয়েকটি শাখা। এর মাঝে উ

Chemical Engineering (ChE)

 Subject Review Chemical Engineering (ChE) বুয়েটে এর আসন সংখ্যা ১২০।    বিষয়বস্তুঃ পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র আর লাইফ সাইন্স, অর্থাৎ জৈব রসায়ন, অণুপ্রাণবিজ্ঞান ও প্রাণরসায়নকে সাথে নিয়ে কীভাবে আর্থিকভাবে লাভজনক উপায়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করা যায়, তা নিয়ে ফলিত বিজ্ঞানের যে শাখা কাজ করে তাই রাসায়নিক প্রকৌশল বিদ্যা বা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। একজন কেমিস্ট মূলত কাজ করেন ল্যাবে, তার কাজ রসায়নের বিভিন্ন মৌল-যৌগের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক, তাদের পারস্পরিক ক্রিয়াকৌশল নিয়ে। অন্যদিকে একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কাজ প্রধানত ইন্ডাস্ট্রিতে। কেমিস্ট তার ল্যাবে স্বল্প পরিসরে যে প্রক্রিয়া ঘটান, সেটিকে একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নিয়ন্ত্রিত ও শিল্পসম্মত উপায়ে ইন্ডাস্ট্রির প্লান্টে ঘটান। ভুরি ভুরি বিক্রিয়া নয়, বরং চেনা জানার, চোখের সামনে থেকেও আড়ালে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিসকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়েই কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গবেষণা ও কাজ। চাহিদাঃ যতদিন এই পৃথিবীতে শিল্প কারখানা থাকবে ততদিন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা থাকবেই। সার কারখানা, পেপার মিল, সুগার মিল, গ্লাস ও সিরামিক শিল্প, পেইন্টস কার

Materials and Metallurgical Engineering- MME

 Subject Review Materials and Metallurgical Engineering (MME) বুয়েটে এর আসন সংখ্যা ৬০। বিষয়বস্তু পৃথিবীর শুরু হতেই ধাতু মানবজীবনের গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে, তখন থেকেই MME এর যাত্রা শুরু। ধাতুর ব্যবহারের উপর ভিত্তি করেই প্রাগৈতিহাসিক যুগগুলোর নামকরন করা হয়েছে তাম্রযুগ (খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০-খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩০০), ব্রোঞ্জযুগ (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩০০-খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০), লৌহযুগ (খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০-খ্রিষ্টপূর্ব ৭০০) ইত্যাদি। এ থেকে জানা যায় যে, আল্লাহ দাউদ (আঃ) কে লোহা নিষ্কাশন ও যুদ্ধক্ষেত্রে লোহা ব্যবহার করে বর্ম নির্মাণের কায়দাকৌশল শিখিয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ও প্রত্মতাত্ত্বিক গবেষণা ও অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, সিরিয়া ও মাইনরের হিত্তি (Hittites) জাতি লোহা গলাবার ও নির্মাণের জটিল পদ্ধতি জানতো এবং বর্তমানে ঐ এলাকা খননকালে লোহা গলাবার চুল্লীসহ প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। আর এই ধাতু ও ধাতুজাত দ্রব্য নিয়েই মূলত পড়াশোনা হয় Materials and Metallurgical Engineering সাবজেক্টটিতে। তবে বর্তমানে ধাতু ও সংকর ধাতু নিয়েই MME এর সিলেবাস শেষ নয় বরং তার সাথে সিরামিক, গ্লাস, বায়োম্যাটেরিয়াল, সেমিকন্ডাক্টার, পলিমার