Civil Engineering (CE), Water Resources Engineering (WRE)
Subject Review
Civil Engineering (CE), Water Resources Engineering (WRE)
ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে অনেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং মনে করেন। পৃথিবীর শুরু থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর নানা কলা-কৌশল চলমান। বুয়েটে সিভিলের আসন ১৯৫ আর পানিসম্পদ প্রকৌশলের জন্য রয়েছে ৩০ টি আসন।
বিষয়বস্তুঃ
Civil বা পুরকৌশল পেশাদার প্রকৌশল বিদ্যার একটি অন্যতম শাখা যেখানে নকশা, নির্মান কৌশল, বাস্তবিক বা প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পরিবেশের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পুরকৌশল বিদ্যায় মূলত বিভিন্ন নির্মাণ কৌশল যেমন ভবন, সেতু, রাস্তা, বাধ, পরিখা, স্তম্ভ ইত্যাদি নির্মাণ কৌশল এবং নির্মাণ পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। তাছাড়া একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে জরিপ ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনার কাজও করতে হয় সমান দক্ষতার সাথে। বাড়ি-ঘর, দালান-কোঠা, রাস্তা-ঘাট,ফ্লাইওভার, বাঁধ, উচু টাওয়ার, এয়ারপোর্ট, সুয়ারেজ লাইন, পানির পাইপ লাইন, বর্জ্য নিষ্কাশন ও রিসাইক্লিং সিস্টেম, ভূমিকম্পের কারণ ও প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে পুরকৌশলবিদ্যার পরিসর। দিনে দিনে সৃষ্টি হয়েছে এর বেশ কয়েকটি শাখা। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হল
I. Structural Engineering
II. Transportation Engineering
III. Geotechnical Engineering
IV. Environmental Engineering
এছাড়া Water Resource কেও Civil এর একটি শাখা বলা যায়। তবে বুয়েটে Water Resource Engineering নামে স্বতন্ত্র একটি Department আছে।
চাহিদাঃ
যে সকল বিষয়ের চাহিদা পূর্বেও সব সময় ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে তার মধ্যে সিভিল অন্যতম। এদেশে এখন অসংখ্য Real Estate বা construction/consultation ফার্ম আছে, যেগুলোতে প্রচুর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং দরকার। এছাড়াও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের সরকারি চাকরির সুযোগ অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারদের তুলনায় অনেক বেশি। অধিক জনবসতি আর নগরায়ন ও আধুনিকায়নের এই যুগে সিভিলের চাহিদার কথা বলাটাই হাস্যকর।
ভবিষ্যতঃ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় সিভিলের চাহিদা ভবিষ্যতে বাড়বেই। জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট সমস্যার কারনে পরিবেশ প্রকৌশলের প্রয়োজন বাড়ছে। পৃথিবী ধ্বংসের আগ পর্যন্ত নির্মাণ কাজ যেমন চলতেই থাকবে, পুরকৌশলীদের চাহিদাও ঠিক সেদিন পর্যন্ত থাকবেই!
সহায়ক গুনাবলীঃ বলবিদ্যায় ভালো দখল, ড্রয়িং, ডিজাইন কনসেপ্ট, পরিশ্রমী, দূরদর্শীতা প্রভৃতি।
কর্মক্ষেত্রঃ
১। সরকারী বিভিন্ন বিভাগ- সড়ক ও জনপদ বিভাগ, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর, গণপূর্ত বিভাগ, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, আবহাওয়া অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রভৃতিতে প্রকৌশলী হিসেবে।
২। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলায় নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে।
২। বিভিন্ন নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউক, কেডিএ, সিডিএ প্রভৃতিতে প্রকৌশলী হিসেবে।
৩। রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, বিভিন্ন ডেভলপার কোম্পানি,Consultancy ফার্ম, বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান (NGO)।
৪। সামরিক বাহিনী।
৫। বিভিন্ন গবেষনা ইন্সটিটিউটে।
৬। সরকারী ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা।
৭। PWD, BIWTA, BIWTC, BRTC, WASA, PDB, BWDB
৮। Grameen Phone, Banglalink সহ অন্যান্য মোবাইল কোম্পানিতে কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।
স্কলারশীপ ও উচ্চশিক্ষাঃ
এ ছাড়াও MIT সহ অন্যান্য Institute/University-তেও সর্বোচ্চ মানের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
Imperial College London, University of California at Berkeley (UCB), Massachusetts Institute of Technology (MIT), University of Illinois at Urbana-Champaign, University of Cambridge, University of Oxford, The University of Melbourne, The University of Queensland এ এই বিষয়ে পড়া যায়।
প্রায় সব খ্যাতনামা Technical Institute এবং University –তে সিভিল ইঞ্জিনিনিয়ারিং আছে। তবে Stanford University কর্তৃক প্রদত্ত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি খুব উন্নতমানের।
Comments
Post a Comment