Chemical Engineering (ChE)

 Subject Review

Chemical Engineering (ChE)


বুয়েটে এর আসন সংখ্যা ১২০। 

 

বিষয়বস্তুঃ

পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র আর লাইফ সাইন্স, অর্থাৎ জৈব রসায়ন, অণুপ্রাণবিজ্ঞান ও প্রাণরসায়নকে সাথে নিয়ে কীভাবে আর্থিকভাবে লাভজনক উপায়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করা যায়, তা নিয়ে ফলিত বিজ্ঞানের যে শাখা কাজ করে তাই রাসায়নিক প্রকৌশল বিদ্যা বা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।

একজন কেমিস্ট মূলত কাজ করেন ল্যাবে, তার কাজ রসায়নের বিভিন্ন মৌল-যৌগের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক, তাদের পারস্পরিক ক্রিয়াকৌশল নিয়ে। অন্যদিকে একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কাজ প্রধানত ইন্ডাস্ট্রিতে। কেমিস্ট তার ল্যাবে স্বল্প পরিসরে যে প্রক্রিয়া ঘটান, সেটিকে একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নিয়ন্ত্রিত ও শিল্পসম্মত উপায়ে ইন্ডাস্ট্রির প্লান্টে ঘটান। ভুরি ভুরি বিক্রিয়া নয়, বরং চেনা জানার, চোখের সামনে থেকেও আড়ালে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিসকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়েই কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গবেষণা ও কাজ।

চাহিদাঃ

যতদিন এই পৃথিবীতে শিল্প কারখানা থাকবে ততদিন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা থাকবেই। সার কারখানা, পেপার মিল, সুগার মিল, গ্লাস ও সিরামিক শিল্প, পেইন্টস কারখানা, ঔষধ শিল্প, ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানি, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি, কসমেটিকস কোম্পানি, পেট্রোলিয়াম রিফাইনারি ইন্ডাস্ট্রি, পারমাণবিক প্ল্যান্ট, সিমেন্ট কারখানা, ট্যানারি কারখানা, বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র প্রভৃতিতে Production এবং Executive উভয় ক্ষেত্রেই এর চাহিদা রয়েছে। আমাদের দেশে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ার সুযোগ খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকায় এর চাহিদা বেশি। দেশের বাইরেও ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের দারুণ চাহিদা।

ভবিষ্যতঃ কৃষিপ্রধান দেশ হওয়ায় ক্রমবর্ধমান সারের চাহিদার কারনে সারশিল্পের ব্যাপক বিকাশ ঘটানার সম্ভাবনা রয়েছে যা Chemical Engineer দের ভবিষ্যত কর্মক্ষেত্রকে আরো সমৃদ্ধ করবে। এছাড়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি হবে যা এর ক্ষেত্রকে কয়েকগুন বিকশিত করবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সিমেন্টশিল্পও কয়েকগুন বিকশিত হবে। গ্লাস ও সিরামিক শিল্প, পেইন্টস কারখানা, ঔষধ শিল্প, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি, ট্যানারি কারখানা প্রতিটি সম্ভাবনাই Chemical Engineering এর ভবিষ্যত চাহিদাকে আরো বাড়াবে বৈ কমাবে না।

সহায়ক গুনাবলীঃ বেসিক কেমিস্ট্রি সম্পর্কে জ্ঞান, চ্যালেঞ্জ গ্রহনের সাহস, ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা ইত্যাদি।

কর্মক্ষেত্রঃ

খাবার চিপস থেকে শুরু করে কম্পিউটারের মাইক্রোচিপস তৈরির কারখানা – সব জায়গাতেই কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের পদচারণা। প্রোসেস কন্ট্রোল, ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, কেমিক্যাল রি-অ্যাক্টর ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, পলিমার রসায়ন ও প্লাস্টিকস, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যানো-টেকনোলজি, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, মিনারেল ইঞ্জিনিয়ারিং, তেল অনুসন্ধান ও তেল শোধন, ফার্মাসিউটিক্যালস, ফার্টিলাইজার ইঞ্জিনিয়ারিং সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রেই রয়েছে এদের কর্মক্ষেত্র।

বাপেক্স, শেভরন, কাফকো, ইউনিলিভার, বিজিএমইএ, BCIC, British American Tobacco (BAT), Lafarge Surma, তিতাস গ্যাস, Rahim-Afrooz সহ বড় বড় সকল ইন্ডাস্ট্রিতে Process Engineer, Maintenance Engineer এবং Executive হিসেবে কর্মক্ষেত্র রয়েছে।


স্কলারশীপ ও উচ্চশিক্ষাঃ

Massachusetts Institute of Technology (MIT), University of California, University of Cambridge, University of Oxford, Princeton University, University of Minnesota, The University of Queensland, The University of Melbourne, University of Michigan, University of Toronto সহ সকল স্বনামধন্য ও বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

Comments

Popular posts from this blog

সমাজকর্ম Social Work / সমাজকল্যাণ Social Welfare

Geography and Environment - ভূগোল ও পরিবেশ

Islamic History and Culture - ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি