Posts

Electrical & Electronic Engineering (EEE)

 Subject Review:  Electrical & Electronic Engineering (EEE) বুয়েট ভর্তিচ্ছুদের অনেকের কাছে এটা ১ম চয়েস। বুয়েটে এর আসন সংখ্যা ১৯৫। বিষয়বস্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্থানান্তর ও বিতরন এবং এর সাথে সম্পর্কিত যন্ত্রঃ যেমন ট্রান্সফর্মার, জেনারেটর, মোটর প্রভৃতি ডিজাইন ও মেইন্টেনেন্স নিয়েই ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। বিভিন্ন ধরনের IC দিয়ে তৈরি ডিভাইসঃ যেমন ট্রানজিস্টার, ডায়োড, ট্রান্সমিটার, রেডিও-টেলিভিশন থেকে শুরু করে স্মার্টফোন, আইপ্যাড, নোটপ্যাড, ল্যাপটপ তৈরি ও ডিজাইন নিয়ে কাজ হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং। এছাড়া মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স, ন্যানোটেকনোলজি, টেলিকম্যুনিকেশন প্রভৃতি বিষয়ও এই সাবজেক্টে পড়ানো হয়। চাপ, তাপমাত্রা, প্রবাহ ইত্যাদি ফিজিক্যাল কোয়ান্টিটি পরিমাপের সেন্সর ও মিটার ডিজাইন নিয়ে কাজ করা ইন্সট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ও এই বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। অত্যাধুনিক কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ডিজাইন ও মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজের ব্যবহারও এই বিষয়ে পড়তে হয়। চাহিদাঃ যে সকল বিষয়ের ব্যাপক চাহিদা অতীতেও সব সময় ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে, তার মধ্যে EEE একটি। চারদিকে ইলেক্ট্রনিক্সের বিপ্লব দেখে নিশ্চয়ই

Civil Engineering (CE), Water Resources Engineering (WRE)

 Subject Review Civil Engineering (CE), Water Resources Engineering (WRE) ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে অনেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং মনে করেন। পৃথিবীর শুরু থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর নানা কলা-কৌশল চলমান। বুয়েটে সিভিলের আসন ১৯৫ আর পানিসম্পদ প্রকৌশলের জন্য রয়েছে ৩০ টি আসন।  বিষয়বস্তুঃ Civil বা পুরকৌশল পেশাদার প্রকৌশল বিদ্যার একটি অন্যতম শাখা যেখানে নকশা, নির্মান কৌশল, বাস্তবিক বা প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পরিবেশের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পুরকৌশল বিদ্যায় মূলত বিভিন্ন নির্মাণ কৌশল যেমন ভবন, সেতু, রাস্তা, বাধ, পরিখা, স্তম্ভ ইত্যাদি নির্মাণ কৌশল এবং নির্মাণ পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। তাছাড়া একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে জরিপ ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনার কাজও করতে হয় সমান দক্ষতার সাথে। বাড়ি-ঘর, দালান-কোঠা, রাস্তা-ঘাট,ফ্লাইওভার, বাঁধ, উচু টাওয়ার, এয়ারপোর্ট, সুয়ারেজ লাইন, পানির পাইপ লাইন, বর্জ্য নিষ্কাশন ও রিসাইক্লিং সিস্টেম, ভূমিকম্পের কারণ ও প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে পুরকৌশলবিদ্যার পরিসর। দিনে দিনে সৃষ্টি হয়েছে এর বেশ কয়েকটি শাখা। এর মাঝে উ

Chemical Engineering (ChE)

 Subject Review Chemical Engineering (ChE) বুয়েটে এর আসন সংখ্যা ১২০।    বিষয়বস্তুঃ পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র আর লাইফ সাইন্স, অর্থাৎ জৈব রসায়ন, অণুপ্রাণবিজ্ঞান ও প্রাণরসায়নকে সাথে নিয়ে কীভাবে আর্থিকভাবে লাভজনক উপায়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করা যায়, তা নিয়ে ফলিত বিজ্ঞানের যে শাখা কাজ করে তাই রাসায়নিক প্রকৌশল বিদ্যা বা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। একজন কেমিস্ট মূলত কাজ করেন ল্যাবে, তার কাজ রসায়নের বিভিন্ন মৌল-যৌগের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক, তাদের পারস্পরিক ক্রিয়াকৌশল নিয়ে। অন্যদিকে একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কাজ প্রধানত ইন্ডাস্ট্রিতে। কেমিস্ট তার ল্যাবে স্বল্প পরিসরে যে প্রক্রিয়া ঘটান, সেটিকে একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নিয়ন্ত্রিত ও শিল্পসম্মত উপায়ে ইন্ডাস্ট্রির প্লান্টে ঘটান। ভুরি ভুরি বিক্রিয়া নয়, বরং চেনা জানার, চোখের সামনে থেকেও আড়ালে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিসকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়েই কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গবেষণা ও কাজ। চাহিদাঃ যতদিন এই পৃথিবীতে শিল্প কারখানা থাকবে ততদিন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা থাকবেই। সার কারখানা, পেপার মিল, সুগার মিল, গ্লাস ও সিরামিক শিল্প, পেইন্টস কার

Materials and Metallurgical Engineering- MME

 Subject Review Materials and Metallurgical Engineering (MME) বুয়েটে এর আসন সংখ্যা ৬০। বিষয়বস্তু পৃথিবীর শুরু হতেই ধাতু মানবজীবনের গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে, তখন থেকেই MME এর যাত্রা শুরু। ধাতুর ব্যবহারের উপর ভিত্তি করেই প্রাগৈতিহাসিক যুগগুলোর নামকরন করা হয়েছে তাম্রযুগ (খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০-খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩০০), ব্রোঞ্জযুগ (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩০০-খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০), লৌহযুগ (খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০-খ্রিষ্টপূর্ব ৭০০) ইত্যাদি। এ থেকে জানা যায় যে, আল্লাহ দাউদ (আঃ) কে লোহা নিষ্কাশন ও যুদ্ধক্ষেত্রে লোহা ব্যবহার করে বর্ম নির্মাণের কায়দাকৌশল শিখিয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ও প্রত্মতাত্ত্বিক গবেষণা ও অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, সিরিয়া ও মাইনরের হিত্তি (Hittites) জাতি লোহা গলাবার ও নির্মাণের জটিল পদ্ধতি জানতো এবং বর্তমানে ঐ এলাকা খননকালে লোহা গলাবার চুল্লীসহ প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। আর এই ধাতু ও ধাতুজাত দ্রব্য নিয়েই মূলত পড়াশোনা হয় Materials and Metallurgical Engineering সাবজেক্টটিতে। তবে বর্তমানে ধাতু ও সংকর ধাতু নিয়েই MME এর সিলেবাস শেষ নয় বরং তার সাথে সিরামিক, গ্লাস, বায়োম্যাটেরিয়াল, সেমিকন্ডাক্টার, পলিমার

ঢাবির আই.আই.টি( সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং) IT (Information Technology)

 ঢাবির আই.আই.টি......( সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং)  . Subject review - IT (Information Technology)  - বন্ধু, কি করিস?  - মোবাইল এ গেমস খেলি ।  - কি গেমস দেখি ? মজার তো । কোন ওয়েবসাইট থেকে নামাইসিস ?  - আমি বানাইসি ।  - কি ? সত্যি ?  - হুম , আর কত অন্যের বানানো গেমস খেলবো । এখন আমার গেমস সবাই খেলবে । হ্যা। ঘটনাটি সত্যি। এরকম চমৎকার অনুভুতি জন্ম দিতে পারে একমাত্র যে সাবজেক্টটি তা হল আইটি। আমাদের পাশের দেশ ভারত বর্তমানে এশিয়ায় সফটওয়্যার রপ্তানিতে শীর্ষে । আমাদের দেশ এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। আমাদের দেশকেও এই ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য যে প্লাটফর্ম দরকার ছিল তা দেশে সর্বপ্রথম চালু করল IIT(Institute of Information Technology ) DU. IIT থেকেই প্রথম দেশের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সার্টিফিকেটধারি (BSc in Software Engineering-BSSE ) মানে তুমি পাশ করলে তোমার প্রথম পরিচয় হবে তুমি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার । আইটি পড়তে হলে অবশ্যই কিছু জিনিস তোমার মাঝে লালন করতে হবে । সৃজনশীল মানসিকতা, ধৈর্য, সাধনা, চেষ্টা এবং চিন্তাশক্তি । প্রথম ভালবাসা হোক প্রোগ্রামিং । প্রোগ্রামার যেভাবে বলবে কম্পিউটার সেভাবেই কাজ করত

Subject review : Health Economics

ইদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। এক আত্মীয় জিজ্ঞেস করল কোন বিষয়ে পড়ো?আমি বল্লাম হেলথ ইকোনমিক্স(স্বাস্থ্য অর্থনীতি)। "কি?হোম ইকোনমিক্স! " এটা ছিল তার প্রতিক্রিয়া।আনেকে জানেনই না যে হেলথ ইকোনমিক্স বা স্বাস্থ্য অর্থনীতি নামে কোনো বিষয় থাকতে পারে।  আমাদের দেশে ক্যারিয়ার বলতে বুঝা হয় ডাক্তারি বা ইন্জিনিয়ারিং। অন্য পেশাকে খুব একটা গোনায় ধরা হয় না।কিন্তু উন্নত বিশ্বে সব পেশাকে সমান চোখে দেখা হয় এবং সমাজ তাদেরকে তাদের ন্যায্য সম্মান দেয়। পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে।সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের কাজের ক্ষেত্র। মানুষ এখন গতানুগতিক পড়াশুনার বাইরে ভিন্ন ধরণের পড়াশোনার প্রতি ঝুঁকছে।তেমনি একটি বিষয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত পূর্ণাঙ্গ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় নি এখনও। সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে, স্বাস্থ্য খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে কতটুকু বিনিয়োগ করতে হবে,কিভাবে নীতিমালা তৈরি করতে হবে সেটি মাথায় রেখেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট। এই ইন্সটিটিউট এ বর্তমানে ৮ম ব্যাচ পড়ছে।  কেনো পড়বে?স্বাস্থ্য অর্থনীতি পৃথিবীর হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প

Subject Review : Genetic Engineering & Biotechnology

A unit.  Seat: 17  I had been asked about choosing Geb as a major by the potential candidates quite a lot these days, and in this week after the Buet results, the numbers are increasing. This is the most honest review that I can give, and I guess it is important as it is a major life decision:  প্রথমত, ক ইউনিট এ সবার আগে শেষ হওয়া সাব্জেক্ট, এর  ব্যাপারে অনেকের উৎসাহ থাকে প্রচুর, তা স্বাভাবিক।  কিন্তু বাস্তবিক কিছু চিত্র তুলে ধরছিঃ  * ভাইয়া আমার গবেষণা এর প্রতি ইন্টারেস্ট বেশি, তাই পড়তে চাই- গবেষণা যেকোন সাব্জেক্ট পড়েই করা যায়। হ্যা, বায়োটেক ফিল্ড অনেক বেশি evolve করতেসে, and scopes অনেক বেশি৷ কিন্তু রিসার্চ অত সস্তা শব্দ না, এবং সায়েন্স ফিকশন বা ইন্টারনেট ভিডিও দেখে হয়তো মনে হবে, আমি ডিএন এ নিয়ে বিশাল রিসার্চ করবো। করা যাবে না তা না, কিন্তু ওই পথ কী পরিমাণ বন্ধুর তা কল্পনাও করতে পারবে না।  দ্বিতীয়ত, জিইবির সবচেয়ে ভাল আর খারাপ দিক দুটোই হল ইয়ার সিস্টেম৷ তার মানে, তুমি সারাবছর অনেক কিছু করার সুযোগ পাবে, এইটা এক দিকএ ভাল। কিন্তু পুরা বছরের পড়া এক দিনে দেয়া কত টা প্যারাদায়ক এবং স্মৃতি শক্ত