Subject review : Health Economics
ইদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। এক আত্মীয় জিজ্ঞেস করল কোন বিষয়ে পড়ো?আমি বল্লাম হেলথ ইকোনমিক্স(স্বাস্থ্য অর্থনীতি)। "কি?হোম ইকোনমিক্স! " এটা ছিল তার প্রতিক্রিয়া।আনেকে জানেনই না যে হেলথ ইকোনমিক্স বা স্বাস্থ্য অর্থনীতি নামে কোনো বিষয় থাকতে পারে।
আমাদের দেশে ক্যারিয়ার বলতে বুঝা হয় ডাক্তারি বা ইন্জিনিয়ারিং। অন্য পেশাকে খুব একটা গোনায় ধরা হয় না।কিন্তু উন্নত বিশ্বে সব পেশাকে সমান চোখে দেখা হয় এবং সমাজ তাদেরকে তাদের ন্যায্য সম্মান দেয়।
পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে।সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের কাজের ক্ষেত্র। মানুষ এখন গতানুগতিক পড়াশুনার বাইরে ভিন্ন ধরণের পড়াশোনার প্রতি ঝুঁকছে।তেমনি একটি বিষয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত পূর্ণাঙ্গ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় নি এখনও। সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে, স্বাস্থ্য খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে কতটুকু বিনিয়োগ করতে হবে,কিভাবে নীতিমালা তৈরি করতে হবে সেটি মাথায় রেখেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট। এই ইন্সটিটিউট এ বর্তমানে ৮ম ব্যাচ পড়ছে।
কেনো পড়বে?স্বাস্থ্য অর্থনীতি পৃথিবীর হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়।এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম।যদি তুমি নিজেকে একজন স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ হিসেবে ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাসহ আরও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের হয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চাও তবে তুমি সঠিক পথেই আছো।তোমার সামনে আছে সম্ভবনার দুয়ার।
কিভাবে ভর্তি হবে?মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় খ ও ঘ ইউনিটে উত্তীর্ণরা এ বিষয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে।এজন্য বংলায় ১২ ও ইংরেজিতে ১৪ থাকা আবশ্যক।এছাড়া রয়েছে ইভিনিং মাস্টার্স করার সুযোগ।
কি পড়ানো হয়?মূলত ইকোনমিক্সের মৌলিক বিষয় গুলোর সাথে স্বাস্থ্য খাতকে সম্পর্কিত করে পড়ানো হয়।।একটি বিষয় জেনে রাখা ভালো যারা মানবিক বিভাগ থেকে পড়তে আসে তাদের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় গণিত।ভয়ের কিছু নেই।একটু ভালো করে পড়লেই রেজাল্ট ভালো করা যায়।এমনকি তারা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের থেকেও তারা ভালো করে।
সম্ভাবনাঃএ বিষয়ে পড়ে ক্যারিয়ার গড়া যেতে পারে নানা দেশি-বিদেশি গবেষণা সংস্থা,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা,ইউএনডিপি, ইউনিসেফ,আইসিডিআরবি সহ অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে।সরকারের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করা যেতে পারে।এছাড়াও এ বিষয়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে উচ্চতর পড়াশুনার জন্য রয়েছে বিভিন্ন রকমের স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ।বিসিএস তো রয়েছেই।
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটে রয়েছে সুপরিসর মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, সেমিনার লাইব্রেরি,, সুপেয় পানি ও সর্বক্ষণিক বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা।সাম্প্রতি স্থাপন করা হয়েছে একটি সততা স্টোর। শিক্ষার্থীদের সবার জন্য রয়েছে গ্রুপ হেলথ ইন্সুরেন্সের ব্যবস্থা।
টেকসই উন্নয়নে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন আবশ্যক।২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে চাইলে স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।আর এতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদরা।সুতরাং তাদের সামনে উজ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
Courtesy:Almahmud Robin
Comments
Post a Comment