subject review: Pharmacy


অপেক্ষা করছিলাম বড় ভাইবোনদের কেউ পোস্ট দিবে কিনা। প্রহর গুনতে গুনতে নিজেই লিখতে বসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ডিপার্টমেন্ট,  যেখানে আপনার বন্ধুবান্ধব র‍্যাগডে পালন করবে, সম্মান শেষ করে সম্মানিত  হবে আর আপনি ৫ম বর্ষে উঠবেন। হ্যা, ঠিক ধরেছেন। ফার্মেসি ৫ বছরের অনার্স। আর মাস্টার্স সহকারে মোটামুটি ৭ বছর+ লেগে যাবে। কি করার! এত ভালোবাসা ডিপার্টমেন্ট আর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি যে ছাড়তেই মন চায় না। 

প্রথমে আসি সবাই যেটা চায়, চাকরির বাজার ( ডিমান্ড নামে পরিচিত যেটা)। ভর্তির আগে অনেকে বলছিল থার্ড ইয়ারে উঠতেই চাকরি ফিক্সড,  খালি পাশ করবা আরর তারপরেই শুরুতে লাখ দুয়েক টাকা বেতনের চাকরির ছড়াছড়ি। আবার এমন লোকের সাথেও কথা হইছে যে বলছে ঔষধের দোকানদারের আবার পড়াশুনা কিসের! 

উপরোক্ত দুই শ্রেণীর কাউকে সামনে পাইনা এখন। সত্য বলতে যেটা, দেশে ছোটবড় সব মিলে ২৫০+ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি আছে, যেখানে প্রচুর ফার্মাসিস্ট নিয়োগ হয়। আগে শুধু পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল, এখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলার কারণে ফার্মাসিস্টও প্রচুর বের হচ্ছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম এবং চাহিদা আমাদের শ্রদ্ধেয় অগ্রজ এবং টিচারদের জন্য এখনো অক্ষুণ্ণ আছে।গত দু বছরে যা দেখলাম, অনার্স পরীক্ষা যেদিন শেষ তার ২ সপ্তাহের ভিতরেই চাকুরী পেয়ে গেছেন অনেকেই।

ফার্মা ইন্ডাস্ট্রি ছাড়া শিক্ষকতা পেশা খুবই ভালো অপশন।  দেশে সরকারি বেসরকারি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি পড়ানো হয়। 

তাছাড়া স্কলারশিপ পাওয়া ইজি কিনা জানিনা, নিজের সময় আসলে বুঝতে পারব। তবে হরহামেশাই দেখছি ভাই আপুরা বাইরে যাচ্ছেন। 

সেই সাথে হালের ক্রেজ বিসিএসেও পিছিয়ে নেই। সপ্তাহে ৫ দিন ৮-১.৩০ ক্লাস আর ২-৫ টা ল্যাব করেও বড়ভাইরা দেখিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রশাসন পুলিশ সব ক্ষেত্রেই আমরা সেরা।

যদি চাকুরী দিয়ে বিচার করেন,  তবে আমি বলব এখানে "একটা" চাকুরী খুব সহজেই পাওয়া যায়।

এবার আসি অন্যান্য প্রসঙ্গে।

আমাদের নিজস্ব কোন বিল্ডিং নাই। ছড়ায়ে ছিটায়ে ক্লাস হয়। ল্যাবগুলাও বিভিন্ন জায়গায়। কার্জন, মোকাররম,  সাইন্স কমপ্লেক্স বিল্ডিং সব খানেই যেতে হয়। ক্লাসরুম সব এসি। তীব্র গরমেও কম্বল গায়ে দেয়ার মতন ঠাণ্ডা করতে পারবে। 

এবার আসি প্রোগ্রামে। যদি ফার্মেসিকে প্রোগ্রামের ডিপার্টমেন্ট বলেন, ভুল হবে না। বছরে বনভোজন,  নবীনবরণ, বিদায়, ফার্মেসি ডে, ডুপা রিইউনিয়ন, পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু করে মোটামুটি ৭/৮টা অফিশিয়াল প্রোগ্রাম থাকে। যেখানে আমরা দিনরাত এক করে আয়োজন করি আর মজা করি। প্রতিটা প্রোগ্রামেই কালচারাল পার্ট থাকে। তাই আপনার সুপ্ত/ বিকশিত যেকোন ধরণের প্রতিভা থাকলে বিকাশের সুযোগ পাবেন।  এছাড়া ফ্রেন্ডলিস্টে ফার্মেসির ফ্রেন্ড থাকলে দেখবেন কিছুদিন পরপরই ট্যুরে গেছে। হল সংগঠনগুলাও অনেক এক্টিভ। 

এছাড়া ৫ম বর্ষে থাকছে দীর্ঘ প্রতিক্ষার ফসল, দ্য ইন্ডিয়া ট্যুর। শুধু ছবি দেখি আর জ্বলে পুরে মরি। ট্যুর এত সুন্দর হয় কেমনে???!!!

এছাড়া আর থাকে টিউশন। কিভাবে জানিনা ফ্রেন্ড, বড়ভাই ছোটভাই দেখি ৫/৬ টা পর্যন্ত টিউশন করায়। আর টাকার পরিমাণ না ই বা বললাম।

সর্বশেষ আসি পড়াশোনার চাপ প্রসঙ্গে। এটা জনসম্মুখে না বলি। সব ডিপার্টমেন্টে দেখলাম অনেক অনেক চাপের ব্যাপারে বলছে। তাহলে ২০৩ ক্রেডিট তোলার জন্য কি হবে একটু কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। 

পরিশেষে, অনেকেই নিজের ডিপার্টমেন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে না। সেই সংখ্যাটা এখানে তুলনামূলক কম বলে আমার ধারণা ( একান্ত পার্সোনাল মত)


Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

সমাজকর্ম Social Work / সমাজকল্যাণ Social Welfare

Geography and Environment - ভূগোল ও পরিবেশ

Islamic History and Culture - ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি