Posts

Showing posts from October, 2018

MATHEMATICS - গণিত

স্কুল বা কলেজে পড়ার সময় গণিতকে কি তোমার খুব সহজ মনে হত? কোনো গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য বন্ধুরা কি তোমারই শরণাপন্ন হত? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে আমার এই লিখা তোমার জন্য। তোমাদের মধ্যে অনেকেই হয়ত ভাবছ, সারাজীবন গণিত আমার কাছে প্রিয় এবং সহজ একটা বিষয় ছিল। এখন অনার্সের বিভাগ হিসেবে "গণিত" কেমন হবে! গণিতে স্নাতক সম্পন্ন করে ভবিষ্যত কেমন হবে? তুমি যদি গণিতকে সত্যিকার অর্থেই ভালবেসে থাকো, তাহলে গণিত বিভাগের লাল বিল্ডিংএ তোমাকে স্বাগতম। গণিত বিভাগের চার বছরের অনার্স কোর্সে প্রতিবছর গণিতের মূল বিষয়ের পাশাপাশি একটা করে ল্যাব কোর্স করতে হয়, যেখানে মূলত প্রোগ্রামিং /উচ্চতর ভাষার প্রোগ্রামিং এসব শিখানো হয়। বিজ্ঞানের অন্যান্য বিভাগের মত এখানে সারাসপ্তাহ জুড়ে তোমাকে ল্যাব করতে হবে না, সপ্তাহে একদিন মাত্র ল্যাব। তোমাদের মধ্যে যারা অল্প পরিশ্রমে তুলনামূলক ভাল চাকরি পেতে চাও, তারা এই বিভাগকে বেছে নিতে পার অনায়াসেই। দুপুরের পর তোমার অন্য বন্ধুরা যেসময় ল্যাবে ব্যস্ত থাকবে, সেসময় তুমি ফ্রি থাকবে। তোমার এইসময়কে তুমি উন্নয়নমূলক অন্য কোনো কাজে ব্যয় করার সুযোগ পাবে। এবার আসি Career এর কথ

World Religions & Culture - বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি

সাবজেক্ট রিভিউ: বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি (World Religions & Culture) ১)WRC নিতে চাইলে পড়তে হবে তাতে সন্দেহ নাই।আবার রাত-দিন পড়তে হয় না। তবে ইংরেজীর ওপর দক্ষতা থাকলে ভালো,ডিপার্টমেন্টের ম্যাক্সিমাম রেফারেন্স বই গুলো ইংরেজীতে,সব কোর্সেরই ভালো বাংলা বই নাই। একদম সত্য কথা। তবে এটা কোন এক্সকিউজ না। আপনার নিজের স্কিল ডিভেলপমেন্ট নিজেরই করতে হবে।এতে যে আপনি কতটুকু উপকৃত হবেন  তা পরে টের পাবেন। ২)সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যেহেতু এই বিভাগে পৃথিবীর প্রায় সব উল্লেখযোগ্য ধর্ম ও তার সংস্কৃতি সম্পর্কে পড়ানো হয়, তাই শিক্ষার্থীর যেকোন ধর্ম সম্পর্কে ‘টলারেন্ট’ ও ‘লিবারেল’ মাইন্ডসেট থাকাটাই আকাঙ্ক্ষিত।তার অ্যাপরোচটা যেন শুদ্ধ হয়,সহনশীলতা যেন থাকে। উল্লেখ্য, ডিপার্টমেন্টে “কোন ধর্ম বড় বা ছোট”- এসব আজব জিনিস পড়ানো হয় না। কারন বিভাগটি “Comparative Religions “ না । এটা “World Religions and Culture”. কোর্সগুলো পড়তে হলে “Philosophy” ও “Religious Pluralism” সম্পর্কে বেসিক জ্ঞান থাকলে ভালো হয় নতুন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষ সম্পর্কে জানে,নিজেদের সমৃদ্ধ করে তথা ই

সমাজকর্ম Social Work / সমাজকল্যাণ Social Welfare

▒▒▒ ঢাবি B ইউনিটঃ- সাবজেক্ট রিভিউ ▒▒▒ . বিষয়: সমাজকর্ম Social Work/সমাজকল্যাণ Social Welfare. ========================== সমাজের একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে তথা- সমাজকর্মের নাম শুনলেই কেউ কেউ প্রথমেই ভেবে নেন এটি তো মেয়েদের সাবজেক্ট। ভাই আপনাদের উদ্দেশ্যেই বলছি- সমাজকর্ম সামাজিক বিজ্ঞান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ববহ একটি বিজ্ঞান। এটি কোন কালেই মেয়েদের সাবজেক্ট নয়,ছিল ও না।সমাজকর্মের জন্ম মুলত ইংল্যান্ডে এরপর আমেরিকায়।প্রথম দিকে গরীব অসহায় ব্যক্তিদের দান খয়রাত প্রক্রিয়া , ম ানবিকতা ও সাহায্যকারী পেশা হিসেবে গন্য হলেও আধুনিক সমাজকর্ম একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নির্ভর সমাজকল্যাণমুলক ব্যবস্থা।বৈজ্ঞানিক জ্ঞাননির্ভর সমস্যা সমাধান প্রক্রিয়া। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি পেশা হিসেবে স্বীকৃত। . যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়: দেশের মাত্র পাঁচটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্মে অনার্স ও মাস্টার্স পড়ানো হয়।যথা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।উল্লেখ্য জাতী

IER - DU

IER হল ঢাবির সর্বপ্রথম ইন্সটিটিউট। দেশের শিক্ষাক্ষেত্রের এপেক্স- খ্যাত এই ইন্সটিটিউটটি ১৯৫৯ সালে USAID এর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। রেজিস্টার বিল্ডিং এর পাশে, চারদিকে গাছপালা ঘেরা মনোরম পরিবেশে অবস্থিত ঝকঝকে তিনতলা “H” আকৃতির ভবনটিই হল আমাদের ঠিকানা। IER এর রয়েছে নিজস্ব সমৃদ্ধ লাইব্রেরি ও ক্যান্টিন। তবে যেটির কথা না বললেই নয়, তা হল আমাদের মুক্তমঞ্চ, আমাদের আড্ডার প্রাণকেন্দ্র। আর কমন রুম আর গেমস রুম তো আছেই। সাজানো গুছানো সুন্দর এই জায়গাটি যেন ক্যাম্পাসের মধ্যেই ছোট্ট  আরেকটি ক্যাম্পাস, যার রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা। আমরা ক্লাস করি চারপাশে সবুজ আর পাখির কলকাকলি নিয়ে। নিজস্ব এতো সুন্দর পরিবেশ পুরো ঢাবি খুজলেও দ্বিতীয় আরেকটি পাওয়া যাবেনা। নাম শুনেই বোঝা যায় আমাদের কাজ কারবার হল শিক্ষা নিয়ে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষা পদ্ধতি, কারিকুলাম ইত্যাদি আরও অনেক বিষয় নিয়ে গবেষণা করাই আমাদের কাজ। আর এজন্যই আমাদেরকে শিক্ষাক্ষেত্রের প্রায় সব বিষয়ই পড়তে হয়।বাংলা এবং ইংরেজি সাহিত্য, গনিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়

ESOL - English for Speakers of Other Languages

ESOL-( English for Speakers of Other Languages) Total Seats:- 40 ( B= 25 seats ; D= 15 seats) # Condition  Mark. English - 17. Bangla- 13. ( নতুন সাবজেক্ট, ৩য় ব্যাচ চলছে। যারা আসবে তারা ৪র্থ ব্যাচ হবে) ১. কি পড়ানো হয়? English language basics( Listening, Speaking, Reading, Writing), English phonetics and phonology, Morphology, Syntax, Spanish ( Up to elementary level ), Linguistics etc. Literature ও পড়ানো হয় কিন্তু English Literature এর মত এত্ত ডিটেলস পড়াবে না। ESOL মূলত English এর applied part গুলো বেশি জোর দেয়। ২. জবসেক্টর? প্রথমত একটা জিনিস মনে রাখা প্রয়োজন বাংলাদেশে এখন সাবজেক্টভিত্তিক জব খুব কম। বেশিরভাগ জবে সাবজেক্ট ম্যাটার করে না। একটা সময় প্রায় সবাই তথাকথিত "চাকুরীর পড়ায়" ব্যস্ত হয়। বাংলাদেশে অনেক জার্নালিস্ট পাওয়া যায় যারা জার্নালিজমে না পড়েও নামকরা জার্নালিস্ট। ESOL এ কিছু জবসেক্টরে প্রাধান্য পাবে Interpreter, Translator, Ambassador, Proofreader, Practician of English Language, International organizations, University teacher( যেহেতু বাংলাদেশে ESOL সবার আগে

Theatre and Performance Studies - নাট্যকলা।

Subject review : Theatre and Performance Studies / নাট্যকলা। আমার মনে আছে শুধু ঢাবিতে পড়ার শখ ছিলো, কিন্তু অন্য কোনো সাবজেক্ট পাবোনা সিরিয়ালে, তাই এখানে ভাইবা দেই৷ আমার বিশ্বাস এরকম আমি একাই করিনি, আরও অনেকে আছে। তবে - যে বিষয়টা আমাকে অবাক করেছে তা হলো এই ডিপার্টমেন্ট টা পানির মতো, পানি একদিকে যেমন গড়াবেই, জীবনের গতি হবেই।  তবে এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে শারিরীক এবং মানসিক সমান পরিশ্রমের মানসিকতা না থাকলে হতাশ হওয়া নজিরবিহীন না।  অনেকটা আর্মির মতো জীবন এখানে যদি কেউ শাইন করতে চা য়, আর কোনোরকম চারটা বছর কাটালাম পড়ে সেন্ট্রাল লাইব্রেরি তে একবছর কাটায় বিসিএস দিয়ে দিলাম তাদের কথা আলাদা। ছন্দ, লয়, নমনীয়তা এই বিষয়গুলো অনেকটা বাধ্যতামূলক মাত্র ২০ টা আসন তিনটা বিভাগ থেকে, কিন্তু প্র্যাক্টিকাল কাজ গুলো করতে গেলে বোঝা যায় এতেও জায়গা সংকট হচ্ছে। ধরাবাঁধা কোনোও চাকরি স্টুডেন্ট জীবনে করে শান্তি পাওয়া যাবেনা, তবে কাজ জানলে পার্টটাইম কাজ গুলো করা যাবে। টিম ওয়ার্ক প্রচুর, তাই সহযোগিতা ও সহ্যের মানসিকতা না থাকলে অনেকের দম বন্ধ লাগবে এখানে, সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো পুরোটা ডিপার্টমেন্ট একটা পরিবারের মতো, প্রত্য

linguistics - ভাষাবিজ্ঞান

জ্ঞান নেয়ার চাইতে জ্ঞান দিতে যারা বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকে তাদেরকে জানাই "আহো ভাতিজা, আহো" মার্কা শুভেচ্ছা। ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হবা অথচ জ্ঞান দিবা না! তা হবে না তা হবে না। ভাষাবিজ্ঞান এবং ভাষাশিক্ষা যে এক না এই বিষয়টা অনেকের কাছেই এখনপর্যন্ত অজানা। ঢাবিতে পড়ে এমন অনেককেই যদি ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের কথা বলা হয় তখন তারা আই এম এলের দিকে মুখটা ঘুরায়,প্রশ্ন করে "এইখানে"? "তো ভায়া কয়টা ভাষা পড়লা","কি কি ভাষা পড়া লাগে তোমার"? এরা হুমায়ুন আজাদ, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ কে চেনে, এরা যে ভাষাবিজ্ঞানী তা জানে।কিন্তু ভাষাবিজ্ঞান কি তা জানে না। তবে এটা কোনো বড় ইস্যু না,ডিপার্টমেন্ট এ ভর্তি হওয়া অনেক শিক্ষার্থীও কোনো "ভাল" সাবজেক্ট না পেয়ে যখন এখানে এসে আটকায় তখন তারা জানতে পারে এরকম একটা ডিপার্টমেন্টও আছে! আমার ভাগ্য বেশ ভালই বলা যায় ভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে আমার ধারণা আগে থেকেই ছিল এবং সাবজেক্ট চয়েজ লিস্টে ৪ নম্বরে আমি এটা রেখেছিলাম। তো এইবার আসল কথায় আসা যাক।যেটা বলছিলাম, "জ্ঞানদান"। ভাতিজারা চান্স পাওয়ার পরে প্রথম

Political Science -রাষ্ট্রবিজ্ঞান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ডিপার্টমেন্টগুলোর একটি রাষ্ট্রবিজ্ঞান।প্রিয় ঢাবির জন্মলগ্ন থেকেই যার পথচলা।রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট এর তুলনায় ক্লাসের মাত্রাতিরিক্ত চাপ নেই। ডিপার্টমেন্ট এর টিচারদের পড়ানোর স্টাইল অনেক সাবলীল এবং সহজে বোধগম্য।রয়েছে অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব,সেমিনার রুম। রাষ্ট্রবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্টের গোবিন্দ চক্রবর্তী স্যার,তালুকদার মনিরুজ্জামান স্যার,ফজলুল করিম স্যার,শরীফ স্যা র,শান্তনু স্যার, আলী রেজা স্যার,আয়নুল ইসলাম স্যারদের ক্লাস যে কারোরই ভালো লাগার কথা!  ❤ আমাদের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান স্যারের ক্লাস করলে একজন স্যারের জ্ঞানের পরিধি কতটুক বিশাল হতে পারে সেটা আপনার ধারণা হয়ে যাবে!  😍 রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নুরুল আমিন ব্যাপারী স্যারের আর্টিকেল গুলা দক্ষিন এশিয়ার রাজনীতিতে খুবই ডিমান্ডিং ছিলো,নব্বইয়ের দিকে!  😎 জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক স্যার,রওনক জাহান ম্যাম, প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমেদ স্যার ও এই ডিপার্টমেন্ট এর শিক্ষার্থী ছিলেন, আহমেদ ছফার মতো বিখ্যাত লেখক ও এম.এ করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে  😎 ঢ

Health Economics - স্বাস্থ্য অর্থনীতি

ইদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। এক আত্মীয় জিজ্ঞেস করল কোন বিষয়ে পড়ো?আমি বল্লাম হেলথ ইকোনমিক্স(স্বাস্থ্য অর্থনীতি)। "কি?হোম ইকোনমিক্স! " এটা ছিল তার প্রতিক্রিয়া।আনেকে জানেনই না যে হেলথ ইকোনমিক্স বা স্বাস্থ্য অর্থনীতি নামে কোনো বিষয় থাকতে পারে। আমাদের দেশে ক্যারিয়ার বলতে বুঝা হয় ডাক্তারি বা ইন্জিনিয়ারিং। অন্য পেশাকে খুব একটা গোনায় ধরা হয় না।কিন্তু উন্নত বিশ্বে সব পেশাকে সমান চোখে দেখা হয় এবং সমাজ তাদেরকে তাদের ন্যায্য সম্মান দেয়। পৃথিবী প্রতিনিয়ত প রিবর্তন হচ্ছে।সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের কাজের ক্ষেত্র। মানুষ এখন গতানুগতিক পড়াশুনার বাইরে ভিন্ন ধরণের পড়াশোনার প্রতি ঝুঁকছে।তেমনি একটি বিষয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত পূর্ণাঙ্গ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় নি এখনও। সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে, স্বাস্থ্য খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে কতটুকু বিনিয়োগ করতে হবে,কিভাবে নীতিমালা তৈরি করতে হবে সেটি মাথায় রেখেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট। এই ইন্সটিটিউট এ বর্তমানে ৮ম ব্যাচ পড়ছে। কেনো পড়বে?স্বাস্থ্য অর্থনীতি পৃথিবীর হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প

Banking and Insurance - ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিকতম বিষয় হলো ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স।সুন্দর ক্লাসরুম, ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব, দক্ষ শিক্ষক, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্যতম সেরা ডিপার্টমেন্ট। ব্যাংকিং খ্যাতে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য এই ডিপার্টমেন্টর জুড়ি নাই। যদিও মানুষ বলবে প্যারাময় ডিপার্টমেন্ট, সিজিপিয়ে কম তবুও জ্ঞান অর্জনের শ্রেষ্ঠ জায়গা এটা। তবে এই বিভাগে ভর্তি হলে আপনি পাবেন অনেকজন সুন্দরী ম্যাম, অনেক ভাল কিছু স্যার হ্যা তবে কিছু অত্যাধিক রাগি স্যারও কিন্তু আছে।এখানে পরতে হলে আপনাকে অনেক পড়তে হবে, হলে থাকলে আপনাকে অন্য ডিপার্টমেন্টের বন্ধুদের অনেক কথা শুনতে হবে যেমন সারাদিন পড়ো, রোবট হয়ে যাবি ইত্যাদি। ফাস্ট ইয়ারে আপনাকে ৩০০ পেইজের টার্ম পেপার করতে হবে। সাইন্সে না পরেও আপনাকে ম্যাথে ও পদার্থ, রসায়নে দক্ষ করে তুলবে এই ডিপার্টমেন্ট। যদিও ম্যাথে পাস করতে দুই বার পরীক্ষা দিতে হবে। সপ্তাহে দুই বার পেজেনটেশন দিতে হবে আর প্রতিদিনের অ্যাসাইমেন্ট তো আছেই। কোন স্যারের ক্লাস শেষ হতে সন্ধা হয়। এত কিছু করেও সিজিপিয়ে ৩ পার করতে কষ্টের সীমা থাকবেনা। তবে দিনশেষে মনে একটু হলেও শান্তি থাকবে যে আপনি একটা চাকরি পেতে পারেন আ

Urdu - উর্দু বিভাগ

. এই একবছরে যা বুঝলাম উর্দু ভাষা উচ্চারণে অনেকটা হিন্দি,লেখাতে প্রায় পুরোটাই আরবী এসেছে সংস্কৃত থেকে, নামধারণ করেছে উর্দু। যারা হিন্দি ভালো পারে কিংবা যারা মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড এর তাদের জন্য মোটামুটি খুবই সহজ এই ডিপার্টমেন্ট। আর যারা মাদ্রাসার না, আরবি কিংবা হিন্দি কোনটাই পারেনা তাদের জন্য একটু জটিল বোধ হলেও তেমন কোনো সমস্যা নেই। ১ম সেমিস্টারের ৬ মাসের প্রায় ৫ মাস শিডিউল ক্লাস ছাড়াও প্রতিদিন এক্সট্রা ক্লাসের দ্বারা উর্দু শেখানো হয়। তাতেই সেকেন্ড সেমিস্টারে যে কেউ তরতর করে উর্দু পড়ে দিতে পারে। বলা হয় উর্দু খুব মজার সাবজেক্ট। যারা কবিতা বা সাহিত্যপ্রেমী তারা ইকবাল-এর মত কবিদের কবিতা পড়া ছাড়াও খুঁটিনাটি জানতে পারবেন। আর উর্দুর মত একটা এক্সট্রা ভাষা শেখার কাছাকাছি আপনি যেকোনো কাজের জন্য অনেক সময় পাবেন। ক্লাস সকালের দিকে একটা নির্দিষ্ট টাইমে। তারপর অবাধ সময় পাবেন অন্যকাজের জন্য,আপনার ইচ্ছেমত। এ ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রক্সি দেওয়ার সু্যোগ কখনই হবেনা। জব সেক্টর নিয়ে অনেকে চিন্তিত থাকে উর্দু ডিপার্টমেন্ট এর। আসলে চিন্তার কিছু নেই। আপনি বিসিএস,ব্যাংকসহ বিভিন্ন সেক্টরে এপ্লিকেশন করতে পারবেন। ক্

Anthropology - নৃবিজ্ঞান

বাংলাদেশ ও বিদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিষয় হলো নৃবিজ্ঞান। আক্ষরিক অর্থে নৃবিজ্ঞান মানুষবিষয়ক বিজ্ঞান। কিন্তু মানুষবিষয়ক অন্য বিজ্ঞানগুলোর চেয়ে এর পরিধি ব্যাপক। বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা মানুষ নিয়ে এ বিজ্ঞানে গবেষণা করা হয়। লাখো-কোটি বছর ধরে মানুষের বিবর্তন এবং সাংস্কৃতিক বিকাশের গবেষণাও নৃবিজ্ঞানের আওতায় পড়ে। নৃবিজ্ঞানে মানুষকে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গবেষণা করা হয়। বিভিন্ন জাতের মানুষ ও তাদের সব রকমের অভিজ্ঞতা নৃবিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয়। নৃবিজ্ঞানীরা কোনো একটি বিশেষ মানব সম্প্রদায়ের সাধারণ বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করতে ও সেগুলো ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করেন। এ বৈশিষ্ট্যগুলো মানুষের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বা সামাজিক রীতিনীতি হতে পারে। কী পড়ানো হয় : নৃবিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান শাখা হলো দৈহিক নৃবিজ্ঞান। দৈহিক নৃবিজ্ঞানে পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব ও পরবর্তী সময়ে তাদের শারীরিক বিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয়। নৃবিজ্ঞানের দ্বিতীয় প্রধান শাখা হলো সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান। সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান আবার তিনটি উপশাখায় বিভক্ত প্রত্নতত্ত বিজ্ঞান, নৃতাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান ও জ্যোতি বিজ্ঞান। এই তিন

Arabic - আরবী বিভাগ

Image
একজন ছাত্র কেন আরবী বিভাগে ভর্তি হবে? আরবী বিভাগ হচ্ছে প্রাচীন ডিপার্টমেন্টের একটি। শুরুতেই বলে দিচ্ছি, অনেকে ইসলামিক স্কলার হতে আরবী নিয়ে পড়তে চান। এটা একটা ভুল ধারণা। আরবী বিভাগে পড়ানো হয় আরবী ভাষা ও সাহিত্য। এটা কোন ইসলামী বিভাগ নয়। আমাদের অনেকেই মনে করে, আরবী বিভাগ মানেই কোরআন হাদীস। আমি হলফ করে বলতে পারি, আরবী সাহিত্যে মদ, প্রেম, নারী, দর্শন, জীবন বৈচিত্র যতটুকু আছে বা যতটুকু পড়ানো হয়, অন্য কোন ভাষার সাহিত্যে সেটা নেই। আর সাহিত্যের মানের দিক থেকে আরবী সাহিত ্য প্রথম সারির কাতারে থাকবে নি:সন্দেহে। আরবদের ঐতিহ্যও আছে সেখানে, সেক্ষেত্রে ইসলামিক কিছু বিষয় চলে আসে। আরবী বিভাগে আপনি ভাষাও আয়ত্ত করতে পারববেন, সাথে থাকছে বিশাল সাহিত্য। অহংকার নয়, সত্যি বলছি, বর্তমানে ঢাবির গতিশীল ডিপার্টমেন্টের মধ্যে একটি হচ্ছে আরবী। গতিশীল হওয়ার কারণ ডিপার্টমেন্টের ছাত্ররা খুব ই উদ্যমী, পরিশ্রমী এবং উদ্যেক্তা টাইপের। ছাত্রদের উদ্যেগে বিভাগ থেকে দুই মাস পররপর ম্যাগাজিন বের করে আরবী বিভাগ, যা বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচলিত আরবী ম্যাগাজিনের একটি। আরবী বিতর্কেও আরবী বিভাগের ছাত্রদের রয়েছে ভাল দখল। আরবী ব

Bangla - বাংলা বিভাগ

Image
বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদের সাথে ঐ, বাংলা বিভাগে পড়ি বলে আমরা সবাই রই! দুই তলাতে করিডোরে, দাঁড়িয়ে যারা কেলাশ করে- "রুমে মোদের ধরে নারে"- কেমন করে কই? বাঁশের বাগান হাতে আমার বাংলা বিভাগ ঐ! জায়গা পাই না তবুও বিভাগ, রোলটা কেন ডাকো? এসির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো? কেলাশেতে আসি যখন, ঘামের স্রোতে ভাসি তখন, বাজেট থেকে কেন হেথায় এসি আসে নাকো? আমরা মরি, বিভাগ তুমি বুক ফুলিয়ে থাকো! বল না, সেদিন কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে? মুনীর-আজাদ নাম কি শুধু সেমিনারেই রবে! মাইগ্রেশনে লেজ গুটিয়ে, সবাই যদি যায় পালিয়ে, মুরগী-খোপের ছোট্টঘরে, কার অ্যাটেন্ডেন্স নিবে? সিজিতো নাই-ই- ছাত্রও নাই- কেমন মজা হবে! এসির স্রোতে ভরে গেছে সকল এক্সাম হল, ফ্যানের তলে আমরা ঘামি- গোসল অবিকল! কোনো বিভাগ করিডোরে, গ্লাস-লাগিয়ে এসি করে, তুমি গাদাও ছাত্র দিয়ে ছোট্ট ক্লাসাঞ্চল, মিডিয়া এসে দেখবে যখন, বলবে কেমন বল? কলাভবনের দ্বিতীয় তলায় বাংলা বিভাগ ঐ, ঢাবিতে যে ভর্তি হলাম, সুনাম পেলাম কই? শান্তিও নাই বিভাগ ভরে, মার্কশিটটাও কেঁদে মরে, দিচ্ছে যে বাঁশ আদর করে- কার কাছেতে কই? কলাভবনের চিপায় আমার

Islamic Studies - ইসলামিক স্টাডিজ

এটা প্রতিষ্ঠাকালীন একটা ঐতিহ্যবাহী ডিপার্টমেন্ট।এই ডিপার্টমেন্টের সিলেবাস আন্তর্জাতিক মানের। এখানে, নন মেজর কোর্স হিসাবে, বাংলা, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, নৃ বিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কম্পিউটার কোর্স, বাংলাদেশ স্টাডিজ, নন্দনতত্ত্ব বিষয়গুলো পড়ানো হয়!!! আর মেজর কোর্স গুলো হলো ঃ 1.introduction to islam and islamic dawah 2.introductory knowledge of the quran and principle and history of tafsir literature 3. al sirat al nabawiyyah and history of the calliphs 4.economy, finannce,banking and insurance in islam 5.quranic studies 7.social system, family welfare and aesthetic in islam 8.sunnag un practical life 9.political system and human rights in Islam 10.study of al tafsir 11.study of kalam and Muslim philosophy and philosopher 12.sufism,and some prominent Sufis and their contribution. 13.introduction to islamic law,personal law and inheritance law in islam 14.Islamic civilization, cultural, ethnic and value 15.modern history of the Muslim world and organization. 16.principle

Peace and Conflict Studies - শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ

নামটা নতুন মনে হলেও ডিপার্টমেন্টের কার্যক্রম শুরু হয় 1999 সাল থেকে।দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রথম এই বিষয়ে পড়াশোনা শুরু হয়ে থাকে। তার পর ভারত,পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পড়াশোনা করানো হয়।এই বিভাগের নাম সবার কাছেই নতুন এবং অদ্ভুত মনে হয়ে থাকে।সবাই চিন্তা করে এই ডিপার্টমেন্ট এ পরে কি হবে,চাকুরী পাওয়া যাবে তো??? বর্তমান যুগে এই ডিপার্টমেন্ট এর গুরুত্ব কতটুকু তা ডিপার্টমেন্ট এর নাম শুনেই বুঝে যাওয়ার কথা।বাংলাদেশে  এর গুরুত্ব ততোটা না থাকলেও বাহিরের দেশে এই বিভাগের গুরুত্ব অনেক।ডিপার্টমেন্ট এর অনেক বড় ভাই বাহিরের বিভিন্ন ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ভালো বিষয়ে পড়াশোনা করতেছে, যারা সবাই এই ডিপার্টমেন্টের। তাই যারা অনার্স শেষ করে বাহিরে পড়তে ইচ্ছুক তারা নির্দ্বিধায় শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বেছে নিতে পারো।কিন্তু GRE, IELTS এ ভালো করতে হবে এবং একটা বিদেশি ভাষা শিখতে হবে। বাংলাদেশে থেকে এই ডিপার্টমেন্ট এ পরে কি করবো তাদের না আসাটাই ভালো।তারপরও যদি আসা লাগে সমস্যা নাই,জাতীয় চাকুরী BCS,NGO, BANK JOB তো আছেই। ডিপার্টমেন্ট এর সিনিয়র ভাইয়া আপুরা অনেক হেল্পফুল

History - ইতিহাস বিভাগ

পড়বেন, পড়বেন আর পড়বেন...... তবে হা করে শুধু মুখস্থ করলে সিজি ৩.৫ পাবেন কিন্তু ভাইভা বোর্ডে গেলে টিচাররা - আপনার সাথে পানি পথের ২য় যুদ্ধ করে ফলাফল স্বরূপ শূন্য দিতে পারে। খাতা ভর্তি নিজের মনের মাধুরি মিশিয়ে কাহিনী লিখে আসলে টিচার ক্লাসে সুন্দর ভাবে আপনার খাতা ক্লাসে সবাইকে পড়ে শোনাবে........ ভুল করেও এখানে নিজের সৃজনশীলতা জাহিরের চেষ্টা চালাবেন না। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা ৩০ পর্যন্ত ক্লাস করবেন মাঝে মাঝে ১-২ ঘন্টা ব্রেক পাবেন ও ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য উপভোগ করবেন। কলাভবনে থেকে আপনা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ক্লাসের মতো সুবিধা পাবেন কারণ ক্লাস রুমগুলিকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ইতিহাস বিভাগে এসে প্রথমেই যে জিনিসের প্রতি আপনার নজর যাবে - তাহলো বিভাগের সামনে বোর্ডে টাঙানো বড় ভাই আপুরা যে প্রধান বিচারপতি, রাষ্ট্রপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ডিন, সাংবাদিক, পরিচালক...... এসব বিশিষ্ট ব্যক্তিরাই আপনার বিভাগের প্রাক্তন ভাই আপু সেটা দেখতে পারবেন। এসব দেখে গর্বে গদগদ হয়ে যখন আপনি ১ম সেমমিস্টারে বান্ডুলেরর মতো ঘুরে পরিক্ষার আগের দিন পড়ে ২ পয়েন্ট পবেন তখন বুঝবেন আপনার লক্ষ্য হবে - বিসি

Criminology - ক্রিমিনোলজি

ক্রিমিনোলজি  এডমিশন এক্সাম শেষ হলো। তোমরা যারা চান্স পেয়েছো তাদের সবাইকে অভিনন্দন। অনেকেই সাবজেক্ট চয়েজ নিয়ে দ্বিধায় আছো। যেহেতু আমি ক্রিমিনোলজি (অপরাধ বিজ্ঞান) নিয়ে পড়ছি তাই আমি ছোট্ট করে একটা রিভিউ দেয়ার চেষ্টা করবো এটা কোন সাবজেক্ট এটাতে কি করা যায়, কি হওয়া যায়, ফিউচার কেমন, কি পড়ানো হয় এসব । তাদের জন্যই আমার আজকের লেখাটা - ছোটবেলায় নিশ্চই অনেকেই রকিব হাসানের তিন গোয়েন্দা গল্প পড়েছো। কিংবা শার্লক হোমস অথবা জেমস বন্ড, ফেলুদা, বোমক্যাশ!! যদি বলি ওরা তো ফিকশনাল ক্যারেক্টার। কয়েকজন বাস্তব গোয়েন্দার নাম বলো তো!!! নিশ্চই মাথা চুলকাবে আর ভাববে, বাস্তবেও কি গোয়েন্দা হয়?? বাস্তব গোয়েন্দারা কেমন হয়?? তাদের কাজ ও কি রোমাঞ্চকর হয়, এডভেঞ্চারাস হয়?? অনেকেরই হয়তো গোয়েন্দা হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। ছদ্মবেশ ধারণ করে অপরাধী পাকড়াও করবে, এডভেঞ্চার করবে, কত্ত মজা তাই না?? যদি এমন স্বপ্ন দেখে থাকো আর সেটা সত্যি করতে চাও তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্রিমিনোলজি বা অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগ তোমার জন্যই। ক্রিমিনোলজি সাবজেক্ট এ অপরাধ, অপরাধী, অপরাধ সংঘটনের কারণ, অপরাধীর মনস্তত্ত্ব, কেন একটা মানুষ

Geography and Environment - ভূগোল ও পরিবেশ

Background:  এই ডিপার্টমেন্টে ঢুকলে প্রথমে আপনার যেই কথাটা শোনা লাগবে, সেটা হচ্ছে "জিওগ্রাফি পইড়া কি করবা?" তবে ভালবাইসা আসেন আর ফান্দে পইরা আসেন, একটু কয়েকদিন থাকলে ই বুঝতে পারবেন যে সাবজেক্টটা অনেকটা 'আলুর' মতন। যে কোন তরকারিতে ই দিয়ে তরকারি সুস্বাদু করতে পারবেন। জিওগ্রাফি পইড়া এই ডিপার্টমেন্টের ছেলেপেলে কিছু করা বাকি রাখছে বলে আমার জানা নাই। বিসিএস থেকে শুরু করে, কর্পোরেট ও বিদেশে পড়ানো, গ্র্যাজুয়েটরা অকপেশনাল্লি মোটামুটি ভাল ডিস্ট্রিবিউটেড। আর না ভাই, আমরা এইখানে রাজধানী, ফুল-ফল, ময়ূর -পঙ্খি এইসব এর নাম মুখস্ত করি না। Students' backgrounds:  এখানে ছাত্র-ছাত্রি সাইন্স,কমার্স, আর্টস প্রভ্রতি ভিন্ন বেকগ্রাউন্ড থেকে ই আসে। প্রথম দিকে সব স্ট্রিম একসাথে খাপ খাওয়াতে একটু বেগ পায়, কিন্তু ৩-৪ মাসের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যায়। যদিও মেজর কোর্স গুলা এক, কিন্তু মাইনর কোর্স স্ট্রিম অনুযায়ী ভাগ করা। তাই যে যার স্ট্রিমে দক্ষতা অর্জন করে প্রথম থেকে ই। Courses Review:  আগে ই যেহেতু বলা হয়েছে যে বিভিন্ন স্ট্রিম থেকে মানুষ আসে, তাই কোর্স গুলো প্রায় সব স্ট্রিম ই কাভার করে

Psychology - মনোবিজ্ঞান

মনোবিজ্ঞান হলো আচরণ ও মানসিক প্রক্রিয়ার বিজ্ঞান সম্মত পাঠ বা আলোচনা। কিন্তু আপনি যদি কাউকে বলেন আপনি মনোবিজ্ঞানে পড়েন তাহলে তাদের প্রথম কথা হবে, "আপনি কি আমার মুখ দেখে বলতে পারেন আমার মনে কি আছে বা আপনারা কি হাত গোনাপড়া করেন????!!!!" যাইহোক এখন আসি আসল কথায়। মনোবিজ্ঞান বিষয়ে পড়লে আপনি যেসব সুবিধা পেতে পারেনঃ মনোবিজ্ঞানের থিম হলো "নিজেকে জানো"। মনোবিজ্ঞান একটা প্রাক্টিক্যাল বিষয়। এখানে অর্জিত অনেক নতুন বিষয় আপনি আপনার বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারবেন। নিজের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে সমাজ জীবন পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানের নানা তত্ত্ব ও তথ্য আপনি কাজে লাগাতে পারবেন। মনোবিজ্ঞান বিভাগে ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) শেষ করার পরে আপনি জেনারেল সাইকোলজিতে স্নাতকোত্তর করতে পারেন। অথবা প্রফেশনাল সাইলোলজিস্ট হতে চাইলে মাস্টার্সে অনেকগুলো এ্যাপ্লাইড শাখা আছে যেমন ক্লিনিক্যাল, কাউন্সেলিং & এডুকেশন, অর্গানাইজেশন্যাল বিহ্যাবিওর, স্কুল, চাইল্ড সাইকোলজি ইত্যাদি। আপনি এখান থেকে মাস্টার্স সহ এম ফিল করতে পারবেন। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের চতুর্