linguistics - ভাষাবিজ্ঞান


জ্ঞান নেয়ার চাইতে জ্ঞান দিতে যারা বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকে তাদেরকে জানাই "আহো ভাতিজা, আহো" মার্কা শুভেচ্ছা।
ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হবা অথচ জ্ঞান দিবা না!
তা হবে না তা হবে না।
ভাষাবিজ্ঞান এবং ভাষাশিক্ষা যে এক না এই বিষয়টা অনেকের কাছেই এখনপর্যন্ত অজানা।
ঢাবিতে পড়ে এমন অনেককেই যদি ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের কথা বলা হয় তখন তারা আই এম এলের দিকে মুখটা ঘুরায়,প্রশ্ন করে "এইখানে"?
"তো ভায়া কয়টা ভাষা পড়লা","কি কি ভাষা পড়া লাগে তোমার"?
এরা হুমায়ুন আজাদ, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ কে চেনে, এরা যে ভাষাবিজ্ঞানী তা জানে।কিন্তু ভাষাবিজ্ঞান কি তা জানে না।
তবে এটা কোনো বড় ইস্যু না,ডিপার্টমেন্ট এ ভর্তি হওয়া অনেক শিক্ষার্থীও কোনো "ভাল" সাবজেক্ট না পেয়ে যখন এখানে এসে আটকায় তখন তারা জানতে পারে এরকম একটা ডিপার্টমেন্টও আছে!
আমার ভাগ্য বেশ ভালই বলা যায় ভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে আমার ধারণা আগে থেকেই ছিল এবং সাবজেক্ট চয়েজ লিস্টে ৪ নম্বরে আমি এটা রেখেছিলাম।
তো এইবার আসল কথায় আসা যাক।যেটা বলছিলাম, "জ্ঞানদান"।
ভাতিজারা চান্স পাওয়ার পরে প্রথম কয়েকদিন ঢাবিয়ান ট্যাগ লাগায়ে খুব আনন্দে ঘুরাফিরা করবা এটাই স্বাভাবিক।
ভাষাবিজ্ঞান সাবজেক্ট টা অনেকের কাছেই নতুন। এই সাবজেক্ট পাওয়ার পর নিজেরও তব্দা খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।
সমস্যা টা হবে তখনই যখন মুরুব্বিরা জিজ্ঞেস করবে, "তো বাবা কোন সাবজেক্ট এ ভর্তি হইলা"?
ভাষাবিজ্ঞান উত্তরটা শোনার পরে অনেকের মুখ কালো হয়ে যায়,কেউকেউ আবার তুচ্ছতাচ্ছিল্যও করে।
এসবে মন খারাপের কিছু নেই।
মানুষের জ্ঞানের স্বল্পতা থাকতেই পারে,এতে নিজে লজ্জিত হওয়ার কোনো কারণ দেখি না,এটা শুধুমাত্র তার ব্যর্থতা।
তারপর অনেক বোঝানোর পরে তারা যখন কিছুই বোঝে না।
কারোকারো মনে আবার সংশয়, বাবারে বাবা এটা আবার কেমন ডিপার্টমেন্ট! না বাংলা না ইংলিশ! দুই বিষয়ে একসাথে অনার্স!
এসব কিছুই কিন্তু আসলে না।
তাদের জন্য আমার সহজ উত্তর,
"ভাষা তো আমরা শিখি গ্রামারের হাত ধরেই।কিন্তু গ্রামারের মধ্যেই কি ভাষার সব শুরু আর শেষ?
সহজভাবে বলতে গেলে আমরা ব্যাকরণ এর ব্যাকরণ শিখি"।
প্রেমে পড়লে আমরা একজন ঠিকই অপর জনের মনের ভাষা বুঝতে পারি।কিন্তু মনের ভাষা বলতে আসলেই কোনো ভাষা আছে,আছে কি তার লিখিত বা কথ্য রূপ?
তেমনি ব্যাকরণ এর ব্যাকরণ নিয়ে সংশয় থাকাটাও কি স্বাভাবিক নয়?
এইটুকু কথা বলার পরে তারা একটু একটু বোঝার ভান করে,কেউকেউ বুঝতে পারে কিন্তু অনেকেই বুঝতে চায় না।
ভাবে,এইসব ভূয়া ডিপার্টমেন্ট এর লাস্টের দিকের ছাত্র আর কি বুঝে আমাকেই বা কি বোঝাবে! হু হা করে বিদেয় নিই!
সত্যি কথা এরা যে বিদায় নেয়,এরপরে আর ফিরে আসে না।
কারণটা কি? জ্ঞান দিতে পছন্দ করলেও কেউ জ্ঞান নিতে রাজি নয়!
আসলে ভাষাবিজ্ঞান নিয়ে বলতে গেলে বলা শেষ করাটা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।এমনিতেই বিষয়টা আমার কাছে জটিল মনেহয়। তাই জটিল জটিল কথা বলে বিষয়টাকে জটিলতর করার কোনো কুটিল মনবাসনা আমার মনে আপাতত নেই।
বাকিটুকু ডিপার্টমেন্টের ছাত্র হওয়ার পরেই টের পাওয়া যাবে।

Comments

  1. there are lots of ways to give a review on linguistics with proper informatio.It’sthe worst review ever. At least,You can take help of any student from linguistic.

    ReplyDelete
  2. that was such a bad review, you didn’t talk about whay can be expected from this subject , what are ghe pros & cons, what is taught here & what's the future/job sector.

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

সমাজকর্ম Social Work / সমাজকল্যাণ Social Welfare

Geography and Environment - ভূগোল ও পরিবেশ

Islamic History and Culture - ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি