International Relation - আন্তর্জাতিক সম্পর্ক




আগামী দিনের কূটনীতিক হওয়ার স্বপ্ন এই শিক্ষার্থীদের চোখে। ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে তোলা। ছবি: উষাণ আরা বাদলআগামী দিনের কূটনীতিক হওয়ার স্বপ্ন এই শিক্ষার্থীদের চোখে। ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে তোলা। ছবি: উষাণ আরা বাদলবাংলাদেশে ৪৮টি দেশের আবাসিক দূতাবাস ও হাইকমিশন অফিস আছে। ১৫ থেকে ২০টির মতো দেশের কনস্যুলেট রয়েছে এ দেশে। এ ছাড়া বিশ্বের ৬৯টি দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে। কনস্যুলেট, ডেপুটি হাইকমিশন, অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশন ও ভিসা সেন্টার রয়েছে ৫২টি দেশে (উইকিপিডিয়া)।
বর্তমানে বাংলাদেশে কাজ করা বিদেশি এনজিও ও উন্নয়ন সংস্থার সংখ্যা ২৩৩ (সূত্র: প্রথম আলো, জুন ১৯, ২০১৪)।
বিদেশি এনজিওগুলোয় ৩৪২ জন বিদেশি এবং ১৫ হাজার ৮১৫ জন বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত; এর পাশাপাশি দেশের অসংখ্য উন্নয়ন সংস্থা তো রয়েছেই। দিনকে দিন দূতাবাস, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় উন্নয়ন সংস্থাগুলোয় জনবল চাহিদা বাড়ছে। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাতেও তাৎপর্যের সঙ্গে কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টতা বাড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতেও বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কূটনীতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, আর সমাজ-সংস্কৃতি নিয়েই পড়াশোনার বিষয় হলো ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স বা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান আশেকা ইরশাদ জানান, বিভিন্ন দেশের মধ্যকার আন্তসম্পর্ক, বিশ্বায়ন, ভূরাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, কূটনীতি আর আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যক্রমের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক পড়াশোনাই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। সারা বিশ্বের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মানচিত্র দ্রুত বদলে যাচ্ছে। যার জন্য কূটনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির আন্তর্জাতিক ভুবনে ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ বাড়ছে দ্রুত।
কোথায় পড়বেন
সরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়টি পড়ানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা (পিজিডি-আইআর) ডিগ্রি নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে বিষয়ে পড়তে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভেদে বিভিন্ন যোগ্যতার প্রয়োজন হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অধীনে চার বছরের স্নাতক কোর্সে ভর্তি হতে চাইলে উচ্চমাধ্যমিকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির যোগ্যতা অনুসারে ‘খ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে নির্বাচিত হতে হয়। ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে চাইলে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ: duir.ac.bd ও ttp://goo.gl/QIwji5।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: cu.ac.bd
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: juniv.edu

################################################

আমার চোখে আন্তর্জাতিক সম্পর্কঃ ঢাবির সবচেয়ে ডায়নামিক বিভাগ
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক শব্দটা শুনতে একটু কেমন জানি মনে হলেও International Relations বা (IR) শব্দটার মধ্যে কেমন জানি একটা এলিট-এলিট ভাব আছে! এই এলিট ভাবটা ডিপার্টমেন্টের প্রতিটি ব্যাচের মধ্যেই কম বেশি লক্ষ্য করা যায়। যেখানে এলিট থাকে সেখানে প্রলেতারিয়েতও থাকে এটাই পৃথিবীর নিয়ম। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ এই নিয়মের বাহিরে না!
প্রতিটি ব্যাচে ক্লাস শুরু হওয়ার পরপরই কিছু ক্রাইটেরিয়ায় ভর করে অনেক গুলো গ্রুপ হয়ে যায়। ক্রাইটেরিয়াগুলো মোটামুটি এই রকম; সিজিপিএ সচেতন, নটরডেম/হলিক্রশ বা ঢাকার কলেজ, কাপল, ফ্যামিলি স্ট্যাটাস, ট্যুর, আস্যাইনমেন্ট-টার্মপেপার, লেকচার তোলা- না তোলা এবং আইসোলেটেড।
এই বিভাগে প্রতি বছর মাল্টিট্যালেন্টেড কিছু ছেলে-মেয়ে ভর্তি হয়, যাদের প্রতিভা দেখে আপনি মুগ্ধ হবেন। দেশের বাইরের আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে এই বিভাগের ছেলে-মেয়েদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মত। মেধার পাশাপাশি ড্যামস্মার্ট পোলাপান আর সুন্দরী মেয়েদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটা সুনাম আছে। তবে ব্যাচ বন্ডিং ততটা স্ট্রং না।
ইমতিয়াজ আহমেদ, আমেনা মোহসিন, আশেকা এরশাদ, দেলওয়ার, রাশেদুজ্জামান, আলী আশরাফ স্যারসহ এই বিভাগে আছেন খ্যাতিসম্পন্ন অনেক শিক্ষক। আছেন মোহাম্মাদ তানজিম উদ্দিন খান স্যারের মত এক্টিভিস্ট। তবে
তবে কিছু শিক্ষকদের পড়ানো নিয়ে শিক্ষার্থীদের হতাশা লক্ষণীয়।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সিলেবাস প্লেটো-এরিস্টটল থেকে শুরু হলেও অমর্ত্য সেনে এসেও থামেনি। বরং রোহিঙ্গা ইস্যু কিংবা জামাল খাসোগির ইস্যুটাকেও এদের সিলেবাসে স্থান দেয়ার মত উদার! পররাষ্ট্রনীতি থেকে সুশীল সমাজ, যুদ্ধের স্ট্রাটেজি কিংবা জেন্ডার ইস্যু কিছুই বাদ যায়নি এই আন্তর্জাতিক সম্পর্কে! ঢাবির অন্যতম ডায়নামিক ডিপার্টমেন্ট হিসেবে আমি আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রথম দিকে রাখতে চাইবো।
দেশের সিভিল সার্ভিস থেকে শুরু করে পুলিশ-ব্যাংক মিডিয়া কিংবা বেসরকারি সংস্থা সবখানেই আছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শিক্ষার্থীদের চোখে পড়ার মত উপস্থিতি। চিরকুট ব্যান্ডের ভোকাল সুমি আপু, পারভেজ এবং জয় শাহরিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এই ডিপার্টমেন্টে ভালো করতে হলে ইংরেজিতে ভালো হওয়া মাস্ট। প্রেজেন্টেশন এবং পেপার রাইটিং-এর ক্ষেত্রেও আপনাকে বিশেষ দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। আপনাকে প্রশ্নের মেরিট বুঝে উত্তর করতে হবে, হতে হবে টপ লেভেলের সৃজনশীল। আন্তর্জাতিক সম্পর্কে হাজার হাজার থিওরি থাকলেও বেশি কিছু মুখস্থ করার সুযোগ নেই।
নিজের যোগ্যতার পাশাপাশি পারিবারিক আর্থিক অবস্থা ভালো হলে এই ডিপার্টমেন্টে পড়ে স্টুডেন্ট লাইফ ইঞ্জয় থেকে শুরু করে অনেক কিছুই করা সম্ভব। ভালো কিছু করতে চাইলে একটু কষ্ট তো করতেই হয়; ভালো রেজাল্ট করতে হয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে একটু ভালো লেখা পড়া করতে হবে।
#লেখক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

###########################################

নামটা যতটুকু গর্জিয়াস, ডিপার্টমেন্টর প্রতিটি কাজকর্ম এমন না।এই ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো খুব ভাব নিয়ে বলা যায়..Department of International Relations এ পড়ি।১ম বর্ষ থেকে ৩য় বর্ষ আপনি যদি ভালো মুখস্থ করতে পারেন এবং ইংরেজিতে লিখতে পারেন বেশ ভালো সিজিপিএ ধরে রাখতে পারবেন,কিন্তু অবশ্যই কিছু শিক্ষক আপনার বিশ্লেষণধর্মী উত্তরের মূল্যয়ন করবে। শুনেছি এই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা ভালো বিদেশী এনজিওতে জব করতে পারে।কিন্তু আপনি IR পড়বেন কিন্তু IELTS,GRE তে ভালো স্কোর রাখবেন না, আপনার ডিপার্টমেন্ট কেন্দ্রিক জবের ক্ষেত্র কমে যাবে।আলাদা কোন ফরেন ল্যাংগুয়েজ শিখতে পারলে আরো ভালো।বিসিএসের রিটেনের আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী পুরোটাই এই ডিপার্টমেন্ট নির্ভর হয়ে থাকে।আস্যাইনমেন্ট,পেজেন্টেশন,ভাইবা,সারপ্রাইজ টেস্ট,বুক রিভিউ,রিসার্চ পেপারের ব্যাপক চাপ থাকবে।ডিপার্টমেন্টের বেশির ভাগ শিক্ষকই বেশ উচ্চমানের জ্ঞানী এবং মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব।
বিঃদ্রঃ আপনি কখনোই প্রক্সি দেওয়ার সুবিধা এই ডিপার্টমেন্ট পাবেন না।



Comments

  1. আমি ২০১৯ এর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম। আমার জিপিএ ছিল ৪.৩৯। এখন আমি চাইলে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন সাবজেক্ট এ চট্রগ্রাম ইউনিভার্সিটি তে পড়তে পারবো..??? আর পড়ার জন্য আমার অগ্রিম প্রস্তুতি কি কি নিতে হবে..???

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যা,অবশ্যই পারবেন।আপনাকে এখন থেকেই বাংলা,ইংলিশ ভালোভাবে আয়ত্ত করা উচিত।এছাড়া এখন থেকেই ভার্সিটি ভর্তির সাধারণ জ্ঞান বই কিনে অনুশীলন করা উচিত(যদি আপনি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হন তবে এই বিষয়গুলো অনুসরণ করুন।আর মানবিকের হলে মানবিকের ভর্তি বিষয়কের উপর গুরুত্ব দিন।কিন্তু সবার আগে চেষ্টা করুন সসচ এ যেনো ৪.৫০+ ফলাফল করতে পারেন)।আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

      Delete
  2. আমার জানার খুবই বেশি প্রয়োজন আমি আর আমার friend 2019 এ HSC দেই. কিন্তু কোথাও ভর্তি পরিক্ষা দেই নি. এবার কি ঢাবিতে দিতো পারবো. নয়তো জাবি এর কোন ইউনিতে IR?
    Please someone 😭

    ReplyDelete
    Replies
    1. na parben na. DU te exam dite caile 2020 te abar HSC improvement exam diye pass korte hobe.

      Delete
  3. ভাইয়া আইআর সাবজেক্ট কি মুখস্ত নির্ভর না সৃজনশীল মূলক

    ReplyDelete
  4. আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বি ইউনিটে ৩৫৯ তম হয়েছি। আমার এই সাবজেক্ট পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
    যদি পাই ভর্তির সময়টুকুতে কীভাবে নিজেকে স্ট্রং করতে পারি সাজেস্ট করুন...

    ReplyDelete
  5. IR নিয়ে পড়ার পর কি ব্যাংক এ চাকরি করা সম্ভব? একটু বুঝিয়ে বলতেন।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

সমাজকর্ম Social Work / সমাজকল্যাণ Social Welfare

Geography and Environment - ভূগোল ও পরিবেশ

Islamic History and Culture - ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি