IER - DU


IER হল ঢাবির সর্বপ্রথম ইন্সটিটিউট। দেশের শিক্ষাক্ষেত্রের এপেক্স- খ্যাত এই ইন্সটিটিউটটি ১৯৫৯ সালে USAID এর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। রেজিস্টার বিল্ডিং এর পাশে, চারদিকে গাছপালা ঘেরা মনোরম পরিবেশে অবস্থিত ঝকঝকে তিনতলা “H” আকৃতির ভবনটিই হল আমাদের ঠিকানা। IER এর রয়েছে নিজস্ব সমৃদ্ধ লাইব্রেরি ও ক্যান্টিন। তবে যেটির কথা না বললেই নয়, তা হল আমাদের মুক্তমঞ্চ, আমাদের আড্ডার প্রাণকেন্দ্র। আর কমন রুম আর গেমস রুম তো আছেই। সাজানো গুছানো সুন্দর এই জায়গাটি যেন ক্যাম্পাসের মধ্যেই ছোট্ট আরেকটি ক্যাম্পাস, যার রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা। আমরা ক্লাস করি চারপাশে সবুজ আর পাখির কলকাকলি নিয়ে। নিজস্ব এতো সুন্দর পরিবেশ পুরো ঢাবি খুজলেও দ্বিতীয় আরেকটি পাওয়া যাবেনা।
নাম শুনেই বোঝা যায় আমাদের কাজ কারবার হল শিক্ষা নিয়ে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষা পদ্ধতি, কারিকুলাম ইত্যাদি আরও অনেক বিষয় নিয়ে গবেষণা করাই আমাদের কাজ। আর এজন্যই আমাদেরকে শিক্ষাক্ষেত্রের প্রায় সব বিষয়ই পড়তে হয়।বাংলা এবং ইংরেজি সাহিত্য, গনিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয় আমাদের পড়ানো হয়। আর এডুকেশনের কোর কোর্সগুলো তো আছেই।
কো-কারিকুলার বিষয়েও IER পিছিয়ে নেই। আমাদের রয়েছে নিজেদের ডিবেটিং ক্লাব, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব ও সিনে ক্লাব। রয়েছে দুর্নীতিবিরোধী IER YES (Youth Engagement and Suppport), যেটি TIB এর সরাসরি সহযোগিতায় পরিচালিত হয়। রয়েছে শিক্ষা উদ্যোক্তাদের সংঘ Education Entrepreneurs Society - EES। EES ইতোমধ্যে আয়োজন করেছে দেশের সর্বপ্রথম শিক্ষা উদ্যোগের আইডিয়া কোয়েস্ট Edupreneurship Idea Quest. তাছাড়াও IER পরিচালিত আরও কিছু স্কুল রয়েছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল University Laboratory School (ULAB) ও শিশুদের জন্য প্রিস্কুল ডে কেয়ার “ছায়ানীড়”। প্রতিবছর বৈশাখ, বর্ষা, বসন্ত এর আগমন উদযাপন, নবীন বরণ, পেইন্টিং, ওয়ার্কশপ ক্লাবগুলোর উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় এখানে।
একটি ব্যাচ ভৌতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ভাষা শিক্ষা ও বিশেষ শিক্ষা- এই পাঁচটি স্ট্রীম ও তিনটি সেকশনে বিভক্ত। আমাদের সবচেয়ে বড় গর্বের জায়গা হলো আমাদের শিক্ষকরা। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে দারুণ একদল শিক্ষক পেয়েছি আমরা। যাদের অনেকেই জাতীয়ভাবে স্বীকৃত ও পরিচিত। IER এর ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক বরাবরই অন্যদের কাছে ঈর্ষাজাগানিয়া।
সবশেষে বলতে হয় আমাদের সিনিয়র ভাইয়া আপুদের কথা। সিনিয়র জুনিয়র দের এতো মধুর সম্পর্ক খুব কম জায়গাতেই দেখা যায়। কাদেরে অথবা ক্যান্টিনে বড় ভাইয়া আপুদের সাথে বসে চা খাওয়া অথবা লাইব্রেরীতে বসে ফিস ফিস করে আড্ডা দেয়া- সিনিয়রদের সাথে আমাদের এমনই বন্ধুর মতো সম্পর্ক। বাইরের কেউ IER এ এসে বুঝতেই পারবেনা কারা সিনিয়র আর কারা জুনিয়র।শ্রদ্ধা স্নেহ আর ভালবাসায় মোড়ানো এমনই এক সম্পর্ক আমাদের। আর আমাদের রয়েছে দারুণ এক এলুমনাই। পাশ করে বের হয়ে যাওয়া বড় ভাইয়া আপুদের সাথেও আমাদের রয়েছে সেইরকম একটা সম্পর্ক, রয়েছে নিয়মিত যোগাযোগ।
Evaluation Revolution, We Art Education
(*কিছুটা এডিটেড, মূল লেখায় ছিল- Reza E Rabbi, ২১তম ব্যাচ,আইইআর
*ওয়াল পেইন্টিংটি করেছেন আই ই আর এর শিক্ষার্থীরা- এর দৈনন্দিন জীবন নিয়ে)

Comments

  1. Ammi ai subject ta paisi.nd ami bujtesina aita subject kemon hobe nd ami migration krte chassi.so amk suggest koren

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

সমাজকর্ম Social Work / সমাজকল্যাণ Social Welfare

Geography and Environment - ভূগোল ও পরিবেশ

Islamic History and Culture - ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি