Bangla - বাংলা বিভাগ
বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদের সাথে ঐ,
বাংলা বিভাগে পড়ি বলে আমরা সবাই রই!
দুই তলাতে করিডোরে, দাঁড়িয়ে যারা কেলাশ করে-
"রুমে মোদের ধরে নারে"- কেমন করে কই?
বাঁশের বাগান হাতে আমার বাংলা বিভাগ ঐ!
বাংলা বিভাগে পড়ি বলে আমরা সবাই রই!
দুই তলাতে করিডোরে, দাঁড়িয়ে যারা কেলাশ করে-
"রুমে মোদের ধরে নারে"- কেমন করে কই?
বাঁশের বাগান হাতে আমার বাংলা বিভাগ ঐ!
জায়গা পাই না তবুও বিভাগ, রোলটা কেন ডাকো?
এসির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
কেলাশেতে আসি যখন,
ঘামের স্রোতে ভাসি তখন,
বাজেট থেকে কেন হেথায় এসি আসে নাকো?
আমরা মরি, বিভাগ তুমি বুক ফুলিয়ে থাকো!
এসির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
কেলাশেতে আসি যখন,
ঘামের স্রোতে ভাসি তখন,
বাজেট থেকে কেন হেথায় এসি আসে নাকো?
আমরা মরি, বিভাগ তুমি বুক ফুলিয়ে থাকো!
বল না, সেদিন কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
মুনীর-আজাদ নাম কি শুধু সেমিনারেই রবে!
মাইগ্রেশনে লেজ গুটিয়ে,
সবাই যদি যায় পালিয়ে,
মুরগী-খোপের ছোট্টঘরে, কার অ্যাটেন্ডেন্স নিবে?
সিজিতো নাই-ই- ছাত্রও নাই- কেমন মজা হবে!
মুনীর-আজাদ নাম কি শুধু সেমিনারেই রবে!
মাইগ্রেশনে লেজ গুটিয়ে,
সবাই যদি যায় পালিয়ে,
মুরগী-খোপের ছোট্টঘরে, কার অ্যাটেন্ডেন্স নিবে?
সিজিতো নাই-ই- ছাত্রও নাই- কেমন মজা হবে!
এসির স্রোতে ভরে গেছে সকল এক্সাম হল,
ফ্যানের তলে আমরা ঘামি- গোসল অবিকল!
কোনো বিভাগ করিডোরে,
গ্লাস-লাগিয়ে এসি করে,
তুমি গাদাও ছাত্র দিয়ে ছোট্ট ক্লাসাঞ্চল,
মিডিয়া এসে দেখবে যখন, বলবে কেমন বল?
ফ্যানের তলে আমরা ঘামি- গোসল অবিকল!
কোনো বিভাগ করিডোরে,
গ্লাস-লাগিয়ে এসি করে,
তুমি গাদাও ছাত্র দিয়ে ছোট্ট ক্লাসাঞ্চল,
মিডিয়া এসে দেখবে যখন, বলবে কেমন বল?
কলাভবনের দ্বিতীয় তলায় বাংলা বিভাগ ঐ,
ঢাবিতে যে ভর্তি হলাম, সুনাম পেলাম কই?
শান্তিও নাই বিভাগ ভরে,
মার্কশিটটাও কেঁদে মরে,
দিচ্ছে যে বাঁশ আদর করে- কার কাছেতে কই?
কলাভবনের চিপায় আমার সাধের বিভাগ ঐ!!
ঢাবিতে যে ভর্তি হলাম, সুনাম পেলাম কই?
শান্তিও নাই বিভাগ ভরে,
মার্কশিটটাও কেঁদে মরে,
দিচ্ছে যে বাঁশ আদর করে- কার কাছেতে কই?
কলাভবনের চিপায় আমার সাধের বিভাগ ঐ!!
#প্যারোডিঃ_বাংলা_বিভাগ
#মূলঃ_শ্রদ্ধেয়_যতীন্দ্রমোহন_বাগচী
#মূলঃ_শ্রদ্ধেয়_যতীন্দ্রমোহন_বাগচী
...©চন্দ্রাহত
আপনি যদি ১ সেমিস্টারে বা ৪ মাসে ১৬ টি কাব্যগ্রন্থ,১৬ টি উপন্যাস,১৬ টি গল্পগ্রন্থ,১৬ টি নাটক পড়ার ইতিহাস গড়তে চান তাহলে বাংলা বিভাগ আপনার জন্য।এই বিভাগে পড়তে চাইলে আপনাকে একটু বেশি এডভেঞ্চার প্রিয় হতে হবে।যেমন ধরেন- পরীক্ষার জন্য ইদের বা পূজার একদিন আগে ট্রেনের ছাদে ঝুলে ঝুলে যাওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে,যখন হলে কোন জন- প্রাণী থাকবে না তখন হয়ত সারারাত জেগে পরীক্ষার নোট করা এবং কবি সাহিত্যিকদের রচনার লাইন মুখস্থ করা লাগতে পারে,প্রচন্ড ঝড়, বৃষ্টি, তুফান,হরতাল অবরোধের মধ্যেও সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ( কোনো দিন হয়ত ৬-৭ টি ক্লাস) ক্লাস করার,যতগুলো ছুটির দিন আছে সেই দিনগুলিতে পরীক্ষা দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।যেমন ধরেন- বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত পরীক্ষা দেওয়ার পর কলাভবনের সামনের নয়নাভিরাম রাতের দৃশ্য আপনার মনে রোমান্টিক চেতনার অবতারণা করতে পারে,ক্লাস রুমের বাইরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে ক্লাস করার বা গল্প করার মত একমাত্র সুযোগ এই বিভাগে ছাড়া অন্য কোথাও মিলবে বলে আমার জানা নেই।( আসলে ক্লাসে জায়গা হয় না তাই)।আর পরীক্ষার নম্বর সে ত সোনার হরিণ,তাকে হয়ত চেতনায় দেখতে পাবেন কিন্তু সে ত আর সহজে ধরা দিবে না!! তাকে পেতে হলে আপনাকে কঠোর অধ্যাবসায় করতে হবে।যেখানে আপনি ১২-১৫ পৃষ্ঠা লেখার পর ১৫ এর মধ্যে ৫-৬ নম্বর পাওয়ার ও রেকর্ড আছে।তবে হ্যাঁ যদি বলেন সেমিস্টার কেমন আগায় তাহলে বলবো ৪ জি -৫ জি গতি যা বলেন তাই।( এত কিছুর পরে না আগাইলে কি উপায় আছে!!) আপনি এত ব্যস্ততার মধ্যে থাকবেন যে কবে সেমি: ফাইনাল আর কবে ইয়ার ফাইনাল চলে এসেছে বুঝতে পারবেন না।বলতে পারি আপনি যদি সাহিত্য ভালবাসেন এবং এর আদি রস,মধ্য রস, অন্ত: রস শৃঙ্ঘার রস ( আরও যে যে রস আছে) উপভোগ করতে চান তাহলে বাংলা বিভাগ আপনাকে সেটা দিতে পারবে।আপনি সাহিত্য রস উপভোগের পাশাপাশি সমাজ,সমাজের নানা জাতি, বর্ণ, ধর্মের বিচিত্র মানুষের চিন্তা- ভাবনা,তাদের মনস্তত্ত,আচার- আচরণ, এবং দর্শনের সাক্ষাত লাভ করবেন।এই বিভাগে সেশন জটের কোন ভয় নেই।সারাবছর এত এত টেক্সট বই,নোট শিট কালেকশনে ব্যস্ত হয়ে থাকবেন যে মাঝে মাঝে GF-BF এর কাছে ফোন করার কথা ভুলে যেতে পারেন।তবে এই বিভাগের শিক্ষকদের সাথে আপনি বন্ধুর মত মিশে যেতে পারেন।কারণ সাহিত্যের শিক্ষকদের কখনো বয়স বাড়ে না।তাই আপনি যেকোন বিষয় খোলা মনে আলোচনা করতে পারবেন।অর্থাৎ শিক্ষকদের মধ্যে কোন জেনারেশন গ্যাপ নেই।আর বিভাগে বসে পড়ার জন্য একটা ঠান্ডা মেশিন লাগানো সেমিনার লাইব্রেরী পাবেন।যেখানে অধিকাংশ সময় সিট পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে।বুঝতেই পারছেন এই বিভাগের ছেলেমেয়েরা কতটা পড়ুয়া হয়! যা হোক আপনি যদি সংস্কৃতির সাথে অবিচ্ছেদ্ধ সম্পর্ক রাখতে চান তাহলে আপনি নিজেকে প্রমাণ করার অনেক সুযোগ পাবেন।মোট কথা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এগুলো কিছুই নয়,তাই রবীন্দ্রনাথের কন্ঠে বলতে চাই-
উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,
"ভয় নাই,ওরে ভয় নাই-
নি: শেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।"
আপনি যদি ১ সেমিস্টারে বা ৪ মাসে ১৬ টি কাব্যগ্রন্থ,১৬ টি উপন্যাস,১৬ টি গল্পগ্রন্থ,১৬ টি নাটক পড়ার ইতিহাস গড়তে চান তাহলে বাংলা বিভাগ আপনার জন্য।এই বিভাগে পড়তে চাইলে আপনাকে একটু বেশি এডভেঞ্চার প্রিয় হতে হবে।যেমন ধরেন- পরীক্ষার জন্য ইদের বা পূজার একদিন আগে ট্রেনের ছাদে ঝুলে ঝুলে যাওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে,যখন হলে কোন জন- প্রাণী থাকবে না তখন হয়ত সারারাত জেগে পরীক্ষার নোট করা এবং কবি সাহিত্যিকদের রচনার লাইন মুখস্থ করা লাগতে পারে,প্রচন্ড ঝড়, বৃষ্টি, তুফান,হরতাল অবরোধের মধ্যেও সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ( কোনো দিন হয়ত ৬-৭ টি ক্লাস) ক্লাস করার,যতগুলো ছুটির দিন আছে সেই দিনগুলিতে পরীক্ষা দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।যেমন ধরেন- বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত পরীক্ষা দেওয়ার পর কলাভবনের সামনের নয়নাভিরাম রাতের দৃশ্য আপনার মনে রোমান্টিক চেতনার অবতারণা করতে পারে,ক্লাস রুমের বাইরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে ক্লাস করার বা গল্প করার মত একমাত্র সুযোগ এই বিভাগে ছাড়া অন্য কোথাও মিলবে বলে আমার জানা নেই।( আসলে ক্লাসে জায়গা হয় না তাই)।আর পরীক্ষার নম্বর সে ত সোনার হরিণ,তাকে হয়ত চেতনায় দেখতে পাবেন কিন্তু সে ত আর সহজে ধরা দিবে না!! তাকে পেতে হলে আপনাকে কঠোর অধ্যাবসায় করতে হবে।যেখানে আপনি ১২-১৫ পৃষ্ঠা লেখার পর ১৫ এর মধ্যে ৫-৬ নম্বর পাওয়ার ও রেকর্ড আছে।তবে হ্যাঁ যদি বলেন সেমিস্টার কেমন আগায় তাহলে বলবো ৪ জি -৫ জি গতি যা বলেন তাই।( এত কিছুর পরে না আগাইলে কি উপায় আছে!!) আপনি এত ব্যস্ততার মধ্যে থাকবেন যে কবে সেমি: ফাইনাল আর কবে ইয়ার ফাইনাল চলে এসেছে বুঝতে পারবেন না।বলতে পারি আপনি যদি সাহিত্য ভালবাসেন এবং এর আদি রস,মধ্য রস, অন্ত: রস শৃঙ্ঘার রস ( আরও যে যে রস আছে) উপভোগ করতে চান তাহলে বাংলা বিভাগ আপনাকে সেটা দিতে পারবে।আপনি সাহিত্য রস উপভোগের পাশাপাশি সমাজ,সমাজের নানা জাতি, বর্ণ, ধর্মের বিচিত্র মানুষের চিন্তা- ভাবনা,তাদের মনস্তত্ত,আচার- আচরণ, এবং দর্শনের সাক্ষাত লাভ করবেন।এই বিভাগে সেশন জটের কোন ভয় নেই।সারাবছর এত এত টেক্সট বই,নোট শিট কালেকশনে ব্যস্ত হয়ে থাকবেন যে মাঝে মাঝে GF-BF এর কাছে ফোন করার কথা ভুলে যেতে পারেন।তবে এই বিভাগের শিক্ষকদের সাথে আপনি বন্ধুর মত মিশে যেতে পারেন।কারণ সাহিত্যের শিক্ষকদের কখনো বয়স বাড়ে না।তাই আপনি যেকোন বিষয় খোলা মনে আলোচনা করতে পারবেন।অর্থাৎ শিক্ষকদের মধ্যে কোন জেনারেশন গ্যাপ নেই।আর বিভাগে বসে পড়ার জন্য একটা ঠান্ডা মেশিন লাগানো সেমিনার লাইব্রেরী পাবেন।যেখানে অধিকাংশ সময় সিট পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে।বুঝতেই পারছেন এই বিভাগের ছেলেমেয়েরা কতটা পড়ুয়া হয়! যা হোক আপনি যদি সংস্কৃতির সাথে অবিচ্ছেদ্ধ সম্পর্ক রাখতে চান তাহলে আপনি নিজেকে প্রমাণ করার অনেক সুযোগ পাবেন।মোট কথা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এগুলো কিছুই নয়,তাই রবীন্দ্রনাথের কন্ঠে বলতে চাই-
উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,
"ভয় নাই,ওরে ভয় নাই-
নি: শেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।"
অনেক পরারে ভাই,, হোগা মেরেই ফেলবে পড়ায়ে রে ভাই
ReplyDelete